নিজস্ব প্রতিনিধি : উপমহাদেশীয় উইকেট হলে আর অশ্বিন ভয়ঙ্কর। কিন্তু বিদেশের উইকেটে অশ্বিন নখ-দাঁতহীন। এমন একটা ধারণা ভারতীয় ক্রিকেট সার্কিট ঘোরাফেরা করে। গত কয়েক বছরে বিদেশের মাটিতে অশ্বিনের গড়পড়তা পারফরম্য়ান্স এমন ধারণায় ধোঁয়া দিয়ে যায়। অশ্বিন নিজেও একাধিকবার তাঁর বিরুদ্ধ এমন সমালোচনার জবাব দিয়েছেন। দু-চারবার বিরূপ প্রতিক্রিয়াও জাহির করে ফেলেছেন। তবে লাভ হয়নি। অস্ট্রেলিয়া সফরে সুযোগ পাওয়ার পর থেকে দক্ষিণী স্পিনারের শরীরী ভাষা কিন্তু অন্য কথা বলছিল। বুঝিয়ে দিচ্ছিল, এবার ভাল মতো প্রস্তুতি সেরে এসেছেন অশ্বিন। আর সেটা মাঠে নেমেই প্রমাণ করে দিলেন ভারতীয় স্পিনার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  জীবনের শেষ ম্যাচ, সতীর্থদের সংবর্ধনায় 'গম্ভীর' থাকতে পারলেন না গৌতম


চার বছর আগে এই অ্যাডিলেডেই টেস্ট দল থেকে বাদ পড়েছিলেন অশ্বিন। সেবার তাঁর বদলে খেলা কর্ণ শর্মা ৩৩ ওভার বল করে ১৪৩ রান দিয়ে দুই উইকেট পেয়েছিলেন। চার বছর পর সেই অ্যাডিলেডেই কামব্যাক অশ্বিনের। সিরিজের প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৩ ওভারে ৫০ রান দিয়ে তিন উইকেট নিয়েছেন অশ্বিন। বোলার অশ্বিনের তীক্ষ্নতা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশংসা শুরু করেছে ক্রিকেটমহল। এতদিন পর জাতীয় দলে ফিরেও অসাধারণ ছন্দে রয়েছেন তিনি। সুনীল গাওস্করের মতো অনেক প্রাক্তন বলছেন, ''অশ্বিন নিজের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়েছেন। সানি গাওস্কর বলছিলেন, খুব বেশি বৈচিত্রে বোলিং করার চেষ্টা করেনি ও। বরং অফ স্পিনে জোর দিয়েছে। তবে দারুণভাবে গতিতে বৈচিত্র এনেছে। অজি ব্যাটসম্যানরা ওর বিরুদ্ধে একবারও আক্রমণাত্মক খেলার চেষ্টা করেনি। ''


আরও পড়ুন-  'আগে স্লেজিং করব না আমরা', বিরাটের বার্তা এড়িয়ে উল্টো রাস্তা নিলেন পন্থ


প্রথম ইনিংসে ভারতের ইনিংস শেষ হয়েছিল ২৫০ রানে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় দিনে সাত উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ১৯১। ট্রাভিস হেড (৬১*) একার কাঁধে দায়িত্ব নিয়ে লড়ছেন। ম্য়াচ কোনদিকে ঘুরতে পারে? অশ্বিন বলে গেলেন, ''এই উইকেটে প্রতিটা রান সোনার টুকরো। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করছে দুই দল। ম্যাচ যে কোনও দিকে ঘুরতে পারে। এর পর যে দল মোমেন্টাম পাবে তারাই এগিয়ে যাবে।''