নিজস্ব প্রতিবেদন : তামিম ইকবাল না থাকায় এমনিতেই টালমাটাল অবস্থা দলের। ম্যাচের আগে সাকিব আল হাসানকে হারিয়ে আরও বড় ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। পাঁজরের ব্যথা আর ক্র্যাম্প নিয়ে মুশফিকুর রহিম খেললেন আর একটি অসাধারণ ইনিংস। অতিমানবীয় ক্যাচ নিয়ে দলকে তাতিয়ে দিলেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মোর্তজা। সঙ্গে মুস্তাফিজুরের আগুনে বোলিং আর মিঠুনের ব্যাটে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে লড়াই এগারো বাঙালির। সব প্রতিকূলতা পেরিয়ে পাকিস্তানকে ৩৭ রানে হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠল বাংলাদেশ।



COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বুধবার আবুধাবিতে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। শুরুতেই বিপর্যয়ের মুখে পড়ে টাইগাররা। ১২ রানের মধ্যে ৩টি উইকেট হারায় তারা। দলকে টেনে তোলার দায়িত্ব নেন মুশফিকুর রহিম ও মহম্মদ মিঠুন। মিঠুন-মুশফিকুরের ১৪৪ রানের অনবদ্য পার্টনারশিপের সৌজন্যে বাংলাদেশ পৌঁছে যায় ২৩৯ রানে। দুর্ভাগ্য মুশফিকুরের। শত রান থেকে মাত্র এক রান দূরে থেকে আউট হন তিনি। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে নড়বড়ে ৯৯-এর তালিকায় ঢুকে পড়েন তিনি। মিঠুন করেন ৬০ রান। বল হাতে সফল পাকিস্তানের জুনেদ খান। ৯ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে ৪টি উইকেট তুলে নেন তিনি।



২৪০ রানের টার্গেট নিয়ে করতে নেমে বাংলাদেশের মতো শুরুতেই বিপর্যয়ের মুখে পড়ে পাকিস্তানও। ১৮ রানে ৩ উইকেট হারায় তারা। এর পর পরিস্থিতি সামাল দিতে ইমাম তখন সঙ্গী হিসাবে পান শোয়েব মালিককে। দু'জনে মিলে দলের রান ২০ ওভারে পৌঁছে দেন ৮৫-তে। শোয়েব মালিক(৩০) ও শাবাদ খান (৪) পর পর আউট হয়ে যাওয়াও পরে আসিফ আলিকে সঙ্গী করে দলকে বিপন্মুক্ত করার চেষ্টা করেন ইমাম। কিন্তু আসিফ আলি(৩১) ও ইমাম উল হক(৮৩) আউট হয়ে যাওয়ার পরে পাকিস্তানের হার ছিল সময়ের অপেক্ষা। শেষ পর্যন্ত দশম উইকেট জুটিতে শাহিন আফ্রিদি ও জুনেদ খান দলকে ২০২ পর্যন্ত টেনে নিয়ে যান। ৩৭ রানে জয় ছিনিয়ে নিল বাংলাদেশ। ইনজামামের ভাইপো ইমাম-উল-হকের অনবদ্য ৮৩ কোনও কাজে এল না। বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর ১০ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে নিলেন ৪টি উইকেট। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ী পাকিস্তানের এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠা হল না। শুক্রবার এশিয়া কাপের মেগা ফিন্যালেতে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।