নিজস্ব প্রতিনিধি : ভারতীয় দলে তিনি এখন অটোমেটিক চয়েস। তিনি দলে থাকা মানে বিরাট কোহলির চিন্তার বোঝা অর্ধেক। তার উপর তাঁকে টেস্ট, একদিন ও টি-২০- তিন ফরম্যাটেই অনায়াসে খেলিয়ে দিতে পারেন ক্যাপ্টেন কোহলি। ফলে জসপ্রিত বুমরা এখন ভারতীয় দলের তারকা বোলার। আর তাঁর পারফরম্যান্স নিয়েও প্রশংসার শেষ নেই। অতীত থেকে বর্তমান, যে কোনও তারকাই বুমরায় মুগ্ধ। নিজের দিনে বিশ্বের যে কোনও বড় ব্যাটসম্যানকে দাঁড় করিয়ে বোকা বানাতে পারেন বুমরা। এমনটাই মনে করে ক্রিকেট সার্কিট। এই যেমনটা হল শন মার্শের সঙ্গে। মেলবোর্নে বুমরা তাঁকে দাঁড় করিয়ে বোকা বানালেন। বলের গতিবিধি বোঝার আগেই মার্শ অসহায়ের মতো উইকেট দিয়ে বসলেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  ১৫ বলে ৬ উইকেট নিয়ে তাক লাগিয় দিলেন ট্রেন্ট বোল্ট


আস্তিনে একের পর এখ অস্ত্র লুকিয়ে রাখেন বুমরা। ছাড়েন সময় মতো। পরিস্থিতি বুঝে। এই বুঝে-শুনে অস্ত্রপ্রয়োগের জন্যই তিনি অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছেন। তাঁকে সামলাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন অজি ব্যাটসম্যানরা। সব থেকে বড় কথা, উইকেটের ধরণ-ধারণের উপর বুমরার বোলিং পারফরম্যান্স খুব একটা প্রভাবিত হয় না। তিনি যে কোনও উইকেটকে নিজের মতো করে ব্যবহারযোগ্য করে তোলেন। মেলবোর্ন উইকেট নিয়ে অজিরা অনেক কথাই বলেছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার প্রথাগত গ্রিন-টপ নাকি এটা নয়। তুলনামূলক পাটা উইকেট। কিন্তু বুমরা এমন উইকেট থেকেই ফসল তুলে নিলেন। লাঞ্চের ঠিক আগে শন মার্শকে তুলে নিলেন একখানা ম্যাজিক ডেলিভারিতে। সেই ডেলিভারিকে 'আনপ্লেয়েবল' আখ্যা দিলেন ধারাভাষ্যকাররা। 


আরও পড়ুন-  ‘পূর্বসুরিদের থেকে শেখা উচিত’, বিরাটের অনফিল্ড আচরণ নিয়ে মন্তব্য নাসিরুদ্দিনের



এমন ডেলিভারিতে বিশ্বের যে কোনও তারকা ব্যাটসম্যান কাত হতে পারতেন। ঠিক যেমনভাবে মাত হলেন শান মার্শ। বুমরা সাধারণত ১৪০ কিমি প্রতি ঘণ্টা বা তার থেকে বেশি গতিবেগে বোলিং করছিলেন। হঠাতই গত কমিয়ে আনলেন ১১৩ কিমি প্রতি ঘণ্টায়। স্লোয়ার ডেলিভারি। তার উপর রিভার্স সুইং। মার্শ বুঝে ওঠার আগেই এলবিডব্লিউ হলেন। ১৪০ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে বোলিং করা একজন বোলারের পক্ষে হঠাত্ করে চেঞ্জ অফ পেস করাটা কিন্তু মোটেই সহজ কাজ নয়। বুমরা সেই কঠিন কাজটা সহজে করলেন। এদিকে, অনেক ক্রিকেট বিশারদ এই ডেলিভারিকে 'টি-২০ স্পেশাল' বলেও ব্যাখ্যা করলেন।