নিজস্ব প্রতিবেদন: শতবর্ষে বাঙালির চিরকালীন ডার্বি ফিরল নয়া রূপে। মোহন-ইস্টের লড়াই এবার আইএসএল-এ। কিন্তু সবটুকু আবেগ যে কেড়ে নিলেন স্বয়ং 'ফুটবলের ইশ্বর'! দিয়েগো মারাদোনার মৃত্যুর শোকের ছায়া দুই শিবিরে। ভেঙে পড়েছেন সমর্থকরাও। হুঙ্কার নয়, এখন শুধুই হাহাকার! আর কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। বল গড়ালেই কি বদলে যাবে আবহ?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: ISL 2020-21: ডার্বিতে কী হতে পারে দুই দলের সম্ভাব্য প্রথম এগারো, জেনে নিন


এবার আসা যাক খেলার প্রসঙ্গে। দেশের সেরা লিগের প্রথম ডার্বিতে কি বাজিমাত করবে মোহনবাগান নাকি চির প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে ইতিহাসে নাম তুলবে লাল-হলুদ বাহিনী? এককথায় বলা খুবই শক্ত। কেউ এগিয়ে রাখছেন ফাউলার বাহিনীকে, তো কারও ভোট আবার হাবাসবাহিনীর পক্ষে। ময়দানে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে যুক্তি আর পাল্টা যুক্তি। বাস্তব ছবি ঠিক কী? আইএসএলে নিজেদের প্রথম ম্যাচটি খেলেছে মোহনবাগান, হারিয়েও দিয়েছে কেরল ব্লাস্ট্রার্সকে। কেমন খেলেছে, সেটা অন্য ব্যাপার। তবে একটি ম্য়াচ জিতে থাকার কারণে রয় কৃষ্ণারা অবশ্যই ডার্বিতে কিছুটা মানসিকভাবে এগিয়ে থাকবেন। তার উপর সন্দেশ জিঙ্ঘান ছাড়া প্রথম দলের সব ফুটবলারকে পাচ্ছেন কোচ হাবাস। সকলেই আবার গতবারেও দলে ছিলেন। কিন্তু, যদি উল্টো দিক থেকে দেখা যায়, ইস্টবেঙ্গল কোচ রবি ফাউলার কিন্তু প্রতিপক্ষের খেলা দেখে ফেলেছেন, সেই সুযোগ পাননি হাবাস। রহস্যে ভরা টিমই না শেষপর্যন্ত বড় হাতিয়ার হয়ে ওঠে লাল-হলুদের? সেই সম্ভাবনা কিন্তু উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।


আরও পড়ুন:  চিরনিদ্রায় শায়িত ফুটবলের রাজপুত্র, বাবা-মায়ের পাশেই সমাধিস্থ দিয়েগো


মাঠের বাইরে যতই হিসেব-নিকেশ থাকুক না কেন, কোচেরা যতই ভালো রণকৌশল সাজান না কেন, দিনের শেষে কিন্তু মাঠে খেলবেন ফুটবলাররা। সুতরাং মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের শক্তি বিচার করতে হলে নজর রাখতে হবে তাঁদের দিকেও। আইএসএলকে যদি বিদেশি ফুটবলারদের মঞ্চ ধরা হয়, তাহলে লাল-হলুদের দল ঈর্ষণীয়। প্রথম দলে থাকছেন পিলকিংটন, মাঘোমা ও ভ্যানি ফক্স। তিনজনই খেলেছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ বা ইপিএল-এ।  স্কট নেভিল আর স্টেইনম্যান, দু'জনেই 'এ' লিগের ফুটবলার। তাহলে কি হাবাস বাহিনী পিছিয়ে থাকবে? তথাকথিত বড় ফুটবলারদের নিয়ে টিমের মুখ থুবড়ে পড়ার নজির কিন্তু ইতিহাসে কম নেই।  ফলে সন্দেহ ও প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। অপেক্ষার প্রহর গুনছেন মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। এত যুক্তি-তর্কের কোনও দামই থাকবে না, যদি প্রিয় দল ডার্বি জিততে না পারে! তাই অপেক্ষা সন্ধে সাড়ে সাতটা পর্যন্ত।