নিজস্ব প্রতিবেদন: ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে মরণবাঁচন ম্যাচে স্টিভ ওয়ার ক্যাচ ফেলেছিলেন হার্শেল গিবস। তত্কালীন অজি অধিনায়ক টিপ্পনী কেটেছিলেন,''ওহে ক্যাচ নয়, বিশ্বকাপটাই ফেলে দিলে তুমি''! শুক্রবার অস্ট্রেলিয়া-ভারতের তৃতীয় একদিনের ম্যাচ হয়ে উঠেছিল সিরিজের নির্ণায়ক। সেখানে শূন্য রানে ধোনির ক্যাচ ফেলেন ম্যাক্সওয়েল। ৭৪ রানে আবারও জীবনদান পান ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। কিন্তু, দুবার নয়, তিনবার জীবনদান পেয়েছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ধোনির ব্যাটে লাগা সত্ত্বেও ক্যাচের আবেদনই করেননি অজিরা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শুরুতেই ভারতের দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানকে তুলে ভারতকে চাপে ফেলে দিয়েছিল স্বাগতিকেরা। ধবন আউট হওয়ার পর ক্রিজে নামেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। খাতা খোলার আগেই পয়েন্টে থাকা ম্যাক্সওয়েলের কাছে যায় ধোনির লোপ্পা ক্যাচ। কিন্তু বল তালুবন্দি করতে পারেননি অজিদের অন্যতম সেরা ফিল্ডার। বলে রাখি, মাঠে ফিল্ডার হিসেবে হার্সেল গিবসের সুনাম ছিল। এরপর শেষদিকে ৭৪ রানে অ্যারন ফিঞ্চ ছাড়েন ধোনির ক্যাচ। ক্যাচ ছাড়ার পর রানআউট হওয়ার হাত থেকে এক চুলের জন্য বাঁচেন কেদার যাদব। 


ধোনিকে আউট করার আরও একটা সুযোগ পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু সেই সুযোগও হাতছাড়া করে তারা। ২৮.৫ ওভারে ৩৪ রানে ব্যাটিং করছিলেন মাহি। পিটার সিডলের বল ধোনির ব্যাটে লেগে উইকেটকিপারের দস্তানায় জমা হয়। হটস্পটে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে, বল লেগেছিল ধোনির ব্যাটে। কিন্তু কোনও অস্ট্রেলিয়ানরা বুঝতেই পারেননি। আপিল করেননি স্বাগতিকেরা। বেঁচে যান ধোনি। 



স্টিভ ওয়ার একটা সুযোগ হারিয়ে ম্যাচ খুঁইয়েছিলেন গিবসরা। সেখানে ধোনিকে তিনবার জীবনদান দেওয়ার পরও কি অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচ জেতার আশা থাকে? ১১৪ রানে ৮৭ রান করে অপরাজিত থাকেন ধোনি। প্রথমবার অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে দ্বিপাক্ষিক সিরিজও জিতে নিয়েছে বিরাটের টিম ইন্ডিয়া।   


আরও পড়ুন- অস্ট্রেলিয়ায় এক হাজার রান, সিরিজ সেরা! আজ যেন ধোনিরই দিন