জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পিঠের চোটের জন্য চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (ICC T20 World Cup 2022) খেলা হচ্ছে না জসপ্রীত বুমরার (Jasprit Bumrah)। জাতীয় দলের তিন ফরম্যাটের তারকা পেসার রীতিমতো চোটপ্রবণ। এই মুহূর্তে বেঙ্গালুরুতে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে রিহ্যাব চলছে বুমরার। তবে বুমরার চোটের রেকর্ড দেখে তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়ে বড় কথা বলে দিলেন কিংবদন্তি অজি পেসার জেফ থম্পসন (Jeff Thomson)। বাইশ গজের সর্বকালের অন্যতম সেরা জোরে বোলার সাফ বলে দিলেন যে, বুমরার পক্ষে তিন ফরম্যাটে খেলা সম্ভব নয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে থম্পসন বুমরার প্রসঙ্গে বলেন, 'দর্শক চায় বুমরা সাদা বলের ক্রিকেট খেলুক। ওকে সাদা বলে বল করতে দেখার জন্য় তাঁরা মাঠে আসেন। খেলাটা ৬০ (ওয়ানডে) এবং ২৪ বলের (টি-২০)। এবার ওর ওপর নির্ভর করছে যে, ও কোন ফরম্যাটে খেলবে। টেস্ট ক্রিকেটে ওকে প্রতিদিন ১৫ ওভার বল করতে হবে। বুমরাই ভালো বুঝবে যে, কোনও ফরম্যাটে খেললে ওর কেরিয়ার দীর্ঘায়িত হবে। বিশ্বকাপ এখন প্রতি বছরই। সাদা বলের ক্রিকেট যে, গুরুত্বপূর্ণ নয়, এমনটা না। বুমরা যেহেতু তিন ফরম্যাটে খেলে, ওর শরীরে অনেক বেশি ভার পড়ে। চোট লাগবেই। এবার দেখতে হবে বুমরা কোন ফরম্যাটে খেলার সিদ্ধান্ত নেয়। এটা পরিষ্কার যে, বুমরা তিন ফরম্যাটে খেলতে পারবে না। যতবার ও চোট পেয়েছে, সেটাই ইঙ্গিত করে। ওকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, কীভাবে ও ভারতীয় দলকে সার্ভিস দেবে। এই সিদ্ধান্ত আবেগি নয়, যুক্তিসঙ্গত। বুমরা অত্যন্ত কোয়ালিটি প্লেয়ার। ও অনেক বছর ধরে খেলেছে। দুর্ভাগ্যক্রমে চোট আঘাত লাগবেই। বিশ্বকাপ অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমাদের কাছে ওর কেরিয়ার অনেক বেশি। ওর এখন ২৮ বছর বয়স। প্রচুর ক্রিকেট রয়েছে বুমরার মধ্যে।'


আরও পড়ুন: New Zealand vs Sri Lanka | T20 World Cup 2022: সিডনিতে গ্লেন সুনামির সঙ্গেই বোল্ট ঝড়! খড়কুটোর মতো উড়ে গেল দ্বীপরাষ্ট্র


গত জুলাই মাসে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে লর্ডসে একদিনের ম্যাচ খেলার সময় পিঠে চোট পান বুমরা। এরপর তাঁর অস্ত্রোপচার হয়েছিল। ফিট না হওয়ার জন্য এশিয়া কাপ পর্যন্ত খেলতে পারেননি। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি সিরিজে কামব্যাক করেছিলেন বুমরা। তবে প্রথম ম্যাচে তিনি খেলেননি। তখন থেকেই তাঁর চোট নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। সিরিজের বাকি দুটি ম্যাচে খেললেও, তাঁর পারফরম্যান্স মোটেও ভালো ছিল না। দক্ষিণ আফ্রিকার সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে না নেমে বুমরা সোজা জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে চলে যান। এখন শোনা যাচ্ছে বুমরার চোট তো সারেইনি, বরং 'স্ট্রেস ফ্র্যাকচার' বেড়েছে। সেইজন্য এই মুহূর্তে এনসিএ-তে তিনি। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, শুধু ‘স্ট্রেস ইঞ্জুরি’ হলে ছ’সপ্তাহের মধ্যে সেরে যেতে পারে। কিন্তু 'স্ট্রেস ফ্র্যাকচার' হলে ছ’মাসও লাগতে পারে। আবার শিরদাঁড়ার দু’পাশেই ফ্র্যাকচার হলে এক বছরও লেগে যেতে পারে। খুব সতর্ক থাকতে হবে চোট নিয়ে। তাড়াহুড়ো করে মাঠে নামলে ফের চোট লাগার আশঙ্কা থেকেই যাবে। ফলে নিজের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে ঝুঁকি নিতে রাজি নন বুমরা। টিম ম্যানেজমেন্টও কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ। 



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)