নিজস্ব প্রতিবেদন: টিম পেনের অজি ব্রিগেডের বিরুদ্ধে ভারতের ২-১-এ জয় কি আদৌ মহাকাব্যিক হয়ে থাকবে? বিরাট কোহলি বলেছেন অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ জয় এখনও পর্যন্ত তাঁর জীবনের সেরা সাফল্য। অনেকটা এগিয়ে গিয়ে কোচ রবি শাস্ত্রী বলেছেন, এই জয় তিরাশির বিশ্বকাপের থেকেও মহার্ঘ্য। যদিও সেবিষয়ে সহমত হননি অনেকেই। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো প্রাক্তন ক্রিকেটাররা তো শাস্ত্রীর মন্তব্যে হেসেই ফেলেছেন। তিরাশিতে প্রুডেশনশিয়াল কাপ জয়, বেনসন অ্যান্ড হেজেস ট্রফি জয়। তার  পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০১১ বিশ্বকাপ জয়, সবকটি নিঃসন্দেহে ভারতীয় ক্রিকেটের এক একটি মাইলফলক। এবং এই সাফল্যের কোনওটি-ই কোনওটি-কে ছাপিয়ে যাবে না। স্বতন্ত্রভাবেই দাঁড়িয়ে থাকবে। অস্ট্রেলিয়াতে প্রথম সিরিজ জয়ও নিঃসন্দেহে বিরাট কৃতিত্ব। তবে এটাই সর্বশ্রেষ্ঠ নয়। প্রাক্তন ভারতীয় পেস বোলার ভেঙ্কটেশ প্রসাদের মতে অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সিরিজ জয় অবশ্যই কৃতিত্বের। তবেই এটা একেবারেই ভারতীয় দলের আসল পরীক্ষা ছিল না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- পাণ্ডিয়া-রাহুলের পাশে তিনি নেই, স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন ক্যাপ্টেন কোহলি



নয়ের দশকের অজি দলের প্রসঙ্গ টেনে এনে প্রসাদ বলেন, “এই সাফল্য পেতে যে পরিশ্রম বিরাট কোহলিরা করেছে আমি অবশ্যই তার প্রশংসা করব। তবে ১৯৯০ সালের অস্ট্রেলীয় দলের সঙ্গে এই অজি দলের কোনও তুলনাই হয় না। তখন অস্ট্রেলিয়ায় স্টিভ ওয়া, মার্ক ওয়া, ব্রেট লি, শেন ওয়ার্ন, রিকি পন্টিংয়ের মতো ক্রিকেটার ছিল। প্রতিপক্ষ হিসেবে তখনকার অস্ট্রেলিয়া আজকের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী ছিল। এই বিষয়টি ভেবেই আমি বলছি, অস্ট্রেলিয়ায় ভারতীয় দলের আসল পরীক্ষা হয়নি।”


আরও পড়ুন- অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সিরিজ জয়, কোহলি কৃতিত্ব নিয়ে বিশ্রী ব্যঙ্গ পাকিস্তান ক্রিকেটারের


তিরাশির প্রুডেশনশিয়াল কাপ জয়ের সঙ্গে এই জয়ের কোনও তুলনা না টানলেও প্রসাদ স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন কপিল দেবের নেতৃত্বে ওই জয়টাই ছিল গেম চেঞ্জার। তাঁর কথায়, “১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ জয় আমাকে অনুপ্রাণিত করেছিল। ক্রিকেটকে নিজের পেশা হিসেবে বেছে নেওয়ার জন্য ওই জয় হাজার হাজার যুবককে সাহস জুগিয়েছিল। ওই জয়ে ভারতে ক্রিকেটের পরিকাঠামোগত উন্নয়নও হয়েছে।”