নিজস্ব প্রতিবেদন - বুদ্ধিতে শ্রেষ্ঠ জীব মানুষ। কিন্তু নিজের শ্রেষ্ঠত্ব মানুষ নিজেই নষ্ট করে বারবার। কখনও অন্য প্রাণীকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। কখনও আবার অন্য প্রাণীর প্রতি নির্মম অত্যাচার করে। তবে সব মানুষ সমান নয়। অন্য প্রাণীদের বাঁচানোর তাগিদে অনেক মানুষই ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাঁদের মধ্যে একজন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ওপেনার লিটন দাস। পথকুকুরদের জীবন বাঁচাতে তিনি মরিয়া চেষ্টা করে চলেছেন।  কিছু মানুষের বেপরোয়া মানসিকতার জন্য অন্য প্রাণীদের জীবন বিপন্ন হয়ে যায়। রাস্তার কুকুরের প্রতি অত্যাচারের ভুরি ভুরি উদাহরণ আছে। অনেকেই তাদের গাড়ির ঢাকায় পিষে দেয়। অনেক সময় ইচ্ছাকৃতভাবে এই কাজ করে অনেকে। কখনও আবার ভুল করে রাস্তার কুকুরদের ওপর গাড়ি চাপিয়ে দিলেও কোনও অনুশোচনা হয় না। লিটন দাস তাদের জন্যই যেন আর্জি জানালেন!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মানবিকতা বোধ সবার মধ্যে সমান হলে পৃথিবীটা আরও সুন্দর হতে পারত। মানুষের সঙ্গে আরও অনেক প্রাণী নিশ্চিন্তে পাশাপাশি থাকতে পারত। কিন্তু তেমন হয় না। কিছু মানুষের অত্যাচারে প্রাণীদের জীবন বিপন্ন। কারণে অকারণে তাদের ওপর অত্যাচার চালায় কিছু মানুষ। প্রতিবাদ করলে জোটে অপমান, লাঞ্ছনা। কিন্তু পশুপ্রেমী মানুষেরা বরাবর সেই নিষ্ঠুরদের প্রতি আর্জি জানিয়ে এসেছেন। লিটন তাই করলেন। ফেসবুকে নিজের পেজ থেকে একটি পোস্টার শেয়ার করলেন লিটন। সেই পোস্টারে লেখা, ''গাড়ী আস্তে চালান। রাস্তায় ছোট কুকুর আছে।'' দেখেই বোঝা যাচ্ছে কাঁচা হাতের লেখা। অর্থাৎ কোনও বাচ্চার আর্জি। সেই আর্জি তুলে ধরেছেন লিটন। ছোট বাচ্চাটি মানুষকে তার নির্মম মানসিকতা ত্যাগ করার অনুরোধ জানাচ্ছে। 


আরও পড়ুন-  বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন দু প্লেসি, দিলেন কড়া বার্তা


লিটন নিজেও যেন সেই বাচ্চাটির মতো আর্জি জানতে চাইছেন। তাই তিনি ফেসবুকে লিখলেন, ''আপনারা যারা গাড়ি চালান, প্লিজ সাবধানে চালাবেন। যাতে পথের প্রাণীগুলোকে অকারণে জীবন দিতে না হয়। এই পৃথিবীতে প্রতিটা প্রাণীর জীবনই মূল্যবান।'' এখন প্রশ্ন হচ্ছে, লিটনের সেই আবেদন কি কিছু মানুষ আদৌ কানে তুলবেন?