নিজস্ব প্রতিবেদন : খালিদ জামিলের জুতোয় পা গলালেন বাস্তব রায়। আসন্ন মরশুমে ইস্টবেঙ্গল কোচের দায়িত্বে এবার তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ইস্টবেঙ্গলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের পদে ইতিমধ্যে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সুভাষ ভৌমিক। এবার তাঁর তত্ত্বাবধানে কাজ করতে হবে বাস্তব রায়কে। দায়িত্ব পেয়ে বাস্তব রায়ের প্রথম প্রতিক্রিয়া, 'দলটার নাম ইস্টবেঙ্গল বলেই দ্বিতীয়বার ভাবিনি। অনেক বড় চ্যালেঞ্জের কাজ। আশা করি, দায়িত্ব নিয়ে সামলাতে পারব।'


আরও পড়ুন- বিশ্বকাপে নেই পর্তুগালের ইউরোজয়ী দলের অনেক ফুটবলার


২০১৫ থেকে আইএসএলের দল এটিকের সহকারী কোচ হিসাবে কাজ করেছেন বাস্তব। এই তিন বছরে একবার আইএসএল খেতাব জিতেছে কলকাতা। অ্যান্টোনিও হাবাস, টেডি শেরিংহ্যাম ও হোসে মোলিনার মতো হাইপ্রোফাইল কোচদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে বাস্তব রায়ের। তার থেকেও বড় কথা, এএফসি এ লাইসেন্স রয়েছে তাঁর। আর সে জন্যই ইস্টবেঙ্গল কোচিং-এর জন্য আবেদনকারীদের মধ্যে তিনি অনেক এগিয়ে ছিলেন।


কিন্তু সুভাষ ভৌমিকের তত্ত্বাবধানে কাজ করতে সমস্যা হবে না? এ ক্ষেত্রে বিষয়টি বাস্তবের চোখে ইতিবাচক। তিনি এদিন বলেন, "উনিও আমার সঙ্গে কাজ করতে উত্সাহী। তাই জন্যই হয়তো এই পদে আমাকে বেছেছেন। এটিকে-র সহকারী কোচ হিসাবে আমার কাজ করার গণ্ডিটা সীমাবদ্ধ ছিল। ইস্টবেঙ্গল কোচ হিসাবে নিজেকে অনেক বেশি করে মেলে ধরতে পারব। তবে আইএসএল-এ কাজ করার সুবাদে আমি আগের থেকে অনেক বেশি শৃঙ্খলাপরায়ণ হয়েছি। এটা আমার ভবিষ্যতে কাজে লাগবে।"


আরও পড়ুন- এবার ব্রিটিশ জাদুঘরে সালহার বুট!


বাস্তবকে নিয়ে আশাবাদী টিডি সুভাষও। ইস্টবেঙ্গল টিডি এদিন বলেন, "প্রথমে ও রাজি হয়নি। এটিকে-র গ্রাসরুট প্রোগ্রাম নিয়ে ও প্রচণ্ড ব্যস্ত ছিল। ভারতের প্রথম সারির সাত জন কোচের থেকে আমি আবেদন পেয়েছি। কিন্তু বাস্তব শেষ পর্যন্ত রাজি হয়ে যাওয়ায় আমি খুশি। ভারতীয় ফুটবলে ও প্রতিশ্রুতিমান কোচ।"


উল্লেখ্য, গত মরশুমে আই লিগে ইস্টবেঙ্গলের ব্যর্থতার পর থেকেই খালিদ জামিলের গদি টলমল ছিল। তার উপর টিডি সুভাষ ভৌমিকের সঙ্গে কাজ করার ব্যাপারেও অস্বস্তি ছিল খালিদের। তাই ইস্টবেঙ্গল কোচের পদ থেকে তাঁর সরে যাওয়ার খবর ছিল নিতান্ত সময়ের অপেক্ষা। এবার খালিদের চেয়ারে বসা বাস্তব ইস্টবেঙ্গলকে সাফল্যের মুখ দেখাতে পারেন কি না সেটাই দেখার।