নিজস্ব প্রতিবেদন- বেসরকারি সংস্থা। তাই যে কোনও দুর্যোগে সবার আগে কোপ মারতে হবে কর্মীদের ঘাড়ে। প্রাকৃতিক হোক বা আর্থিক দুর্যোগ, বেসরকারি সংস্থাগুলিতে আগে কর্মী ছাঁটাইয়ের হিড়িক পড়ে যায়। বহু নামী সংস্থা আবার কর্মী ছাঁটাই ও বেতন হ্রাস দুই-ই করে। এভাবেই নাকি কস্ট কন্ট্রোল হয়। দুর্যোগ মোকাবিলা করা যায়। অর্থাত্ দুঃসময়ে একজন বেসরকারি কর্মচারীর প্রতি তাঁর সংস্থার কোনও দায়বদ্ধতা নেই। অথচ সংস্থাকে সুদিনের মুখ দেখাতে এক সময় হয়তো ওই কর্মীরাই দিন-রাত এক করে কাজ করেছিলেন। কিন্তু সংস্থা সেসব মনে রাখে না। দুর্দিনে এলে সবার আগে কস্ট কন্ট্রোল-এর যে উপায় তা হল- কর্মী ছাঁটাই। তবে সেইসব হাজারো সংস্থার কাছে উদাহরণ হতে পারে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড। এই চরম দুঃসময়েও কর্মী ছাঁটাই করছে না বিসিসিআই। কারও বেতন হ্রাসও করা হচ্ছে না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


বিশ্বের অন্যতম ধনী সংস্থা বিসিসিআই। তবে এই ধনী তকমা কিন্তু একদিনে বা এত সহজে পায়নি তারা। সঠিক সিদ্ধান্ত, ম্যানেজমেন্ট দক্ষতা থেকে শুরু করে উপার্জনের বিকল্প রাস্তা বের করে এই তকমা উপার্জন করতে হয়েছে বিসিসিআইকে। আর তার জন্য বোর্ড কর্তাদের প্রশংসা প্রাপ্য। বিশ্বের অনেক ক্রিকেট সংস্থাই করোনার এই দুঃসময়ে আর্থিক দিক থেকে রুগ্ন হয়ে পড়েছে। বিসিসিআই-এরও অবস্থা যে ভাল তা নয়। তবে দুর্যোগ মোকাবিলা করার মতো ক্ষমতা রয়েছে। আর তাই একজন কর্মীকেও ছাঁটাইয়ের কথা ভাবেনি বোর্ড। বরং খরচ কমানোর রাস্তা ভাবা হয়েছে অন্যভাবে। অন্য বেশ কয়েকটি খাতে খরচ কমানোর কথা ভাবা হয়েছে। বোর্ডের কোষাধ্যক্ষ অরুন ধুমাল বলেছেন, ''গত অক্টোবর থেকেই আমরা বেশ কিছু জায়গায় ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। পুরো প্রক্রিয়াই শুরু হয়েছিল করোনা পরিস্থিতির আগে। তবে সেখানে কোনও কর্মীর বেতন হ্রাস বা ছাঁটাই করা হয়নি।'' 


আরও পড়ুন- পথ দেখাবে ভারত! ক্রিকেটারদের জন্য করোনা সুরক্ষা পোশাক তৈরি শুরু এদেশেই


তা হলে কোন খাতে খরচ কমানো হয়েছে! অরুণ ধুমাল বলেছেন, ''ভ্রমণ বা হসপিটালিটির মতো ক্ষেত্রে আমরা খরচ কমিয়েছি। তবে আইপিএল না হলে আমাদের প্রায় চার কোটি টাকা ক্ষতি হবে। তখন অন্যভাবে ভাবতে হতে পারে। তবে এখনও পর্যন্ত আমরা কর্মী ছাঁটাইয়ের রাস্তায় হাঁটিনি। কাউকে কম বেতন দেওয়া হবে না। ব্যয় কমানোর রাস্তা অন্যভাবে বের করতে হবে।''