নিজস্ব প্রতিবেদন- অনেক চেষ্টা করে এই পরিস্থিতির মধ্যেও আইপিএল আয়োজন করছে বিসিসিআই। সত্যি, বিসিসিআই বলেই সম্ভব হয়েছে। না হলে গোটা দেশ যখন মহামারির কবলে পড়ে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে পড়েছে তখন ক্রিকেট খেলার কথা কী আর ভাবা যায়! কিন্তু বিসিসিআই প্রমাণ করেছে, তারা সমস্ত সুবিধা-অসুবিধার উর্ধ্বে। কোনও পরিস্থিতিই তাদের আটকাতে পারবে না। দেশ বা বিশ্বের পরিস্থিতি যতই খারাপ হোক না কেন, ক্রিকেট হবেই। বিসিসআই জানিয়েছিল, আইপিএল না হলে চার হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হত। তা ছাড়া বহু মানুষের রুজি-রোজগার জড়িয়ে রয়েছে আইপিএলের সঙ্গে। তাঁরাও সমস্যায় পড়তেন। দেশে না হলেও বিদেশে আইপিএল হচ্ছে। আর বোর্ড কর্তাদের তাই এখন মুখে চওড়া হাসি দেখা যাচ্ছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কর্তারা হাসলেও বিসিসিআই কর্মীরা কিন্তু চিন্তায়। কারণ কোটিপতি বোর্ডও নাকি এবার কর্মীদের বেতন হ্রাস ও ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটছে। জানা যাচ্ছে, আইপিএলের সাফল্যের উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। এমনিতেই অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউ জিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড ইতিমধ্যে কর্মী ছাঁটাই করেছে। এমনকী কিছু কর্মীর বেতন কমানো হয়েছে। তবে করোনার আবহে বিসিসিআই এখনও সেই পথে হাঁটেনি। তবে বোর্ডের এক কর্তা জানিয়ে রাখলেন, এবার তাঁরা স্রোতে গা ভাসাতে পারেন। কারণ, আইপিএলের স্পনসরদের থেকে এবার এমনিতেই ২০০ কোটি টাকা কম আসছে। তার উপর মাঠে ভিড় হবে না। অন্যবারে তুলনায় এবার আইপিএল থেকে বোর্ডের উপার্জন তেমন হবে না।


আরও পড়ুন-  ভাইপো কোচ হতেই ডিগবাজি! ইমরানকে দেওয়া গালিগালাজ ফেরত নিলেন মিয়াঁদাদ


বোর্ডের কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধুমাল আগেইউ জানিয়েছিলেন, এবার তাঁরা খরচ কমাবেন। আর তাই বোর্ড কর্তা ও ক্রিকেটারদের সফরে বেশ কিছু পরিবর্তন করা হয়েছিল। আরও বেশ কিছু জায়গা থেকে খরচ কমানোর কথা ভাবছেন তাঁরা। বোর্ডের এক কর্তা জানিয়েছেন, এতদিন পর্যন্ত তাঁরা কোনও আলোচনায় কর্মী ছাঁটাই বা বেতন হ্রাস নিয়ে আলোচনা করেননি। তবে এখন পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে তাতে কর্মী ছাঁটাই বেতন হ্রাস করতে পারে বিসিসিআই।