BCCI vs Virat Kohli : ফের `বিরাট` বিতর্কে কোহলি! কোন মন্তব্যের জন্য ফের কোহলির বিরুদ্ধে সরব বিসিসিআই?
BCCI vs Virat Kohli : এশিয়া কাপে ভারতের অবস্থান মোটেও ভাল নয়। এমন প্রেক্ষাপটে কি বিরাটের বিতর্কিত মন্তব্য করা উচিত ছিল? তিনি কি ঠাণ্ডা মাথায় ব্যাট করতে পারবেন? আলোচনা তুঙ্গে।
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দুই পক্ষের ঝামেলা কিছুতেই মিটতে চাইছে না। গত এক বছর ধরে থেকে সুযোগ পেলেই একে অন্যের বিরুদ্ধে তোপ দেগে চলেছেন। এ বারও তাই হল। বিসিসিআই বনাম বিরাট কোহলি (BCCI vs Virat Kohli) বিতর্ক এ বার নতুন মোড় নিল। টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর মহেন্দ্র সিং ধোনি (Mahendra Singh Dhoni) ছাড়া আর কেউ তাঁর পাশে দাঁড়ায়নি। বিরাটের এই মন্তব্যকে একেবারেই ভালভাবে নিচ্ছে না সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (BCCI)। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বোর্ড কর্তা সোজা বলে দিচ্ছেন, 'বুঝতে পারছি না ও কেন এমন মন্তব্য করেছে! সবাই তো ওর পাশে দাঁড়িয়েছে!'
পাকিস্তানের (Pakistan) বিরুদ্ধে এশিয়া কাপের (Asia Cup) ম্যাচে হারের পর সাংবাদিক সম্মেলনে এসেছিলেন টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক। বিরাট বলেন, 'আমি যখন টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়ি, এক জন মাত্র প্রাক্তন ক্রিকেটার আমাকে ফোন করেছিল। অনেকের কাছেই আমার নম্বর আছে। কিন্তু ফোন করেছিলেন শুধু মহেন্দ্র সিং ধোনি। এর থেকেই বোঝা যায় কে আমার ভাল চায়। একজনের সঙ্গে আর একজনের সম্পর্ক যদি জেনুইন হয়, একজনের প্রতি যদি সম্মান থাকে, তাহলে সেটা বোঝা যায়। না এমএস ধোনির থেকে আমার কিছু চাই। না এমএস আমার কাছ থেকে কোনও সাহায্য চেয়েছে। আমরা দুজন কেউ কাউকে নিয়ে নিরাপত্তার অভাবে ভুগি না। সেইজন্য আমাদের সম্পর্কটা রয়ে গিয়েছে।' অর্থাৎ কোহলির সাফ ইঙ্গিত ছিল, অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর ধোনি ছাড়া আর কাউকে পাশে পাননি তিনি। এরপরই প্রশ্ন ওঠা শুরু করে বিরাটকে বোর্ড এবং অন্য সতীর্থদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন?
আরও পড়ুন: Virat Kohli, IND vs PAK : ধোনি ছাড়া আর কোনও প্রাক্তন পাশে ছিলেন না, কোহলির ফের 'বিরাট' বিস্ফোরণ
আরও পড়ুন: Sunil Gavaskar vs Virat Kohli : ফের লেগে গেল! কোহলির মন্তব্যের কড়া জবাব দিলেন সানি
নাম জানাতে অনিচ্ছুক বোর্ডের এক কর্তার বক্তব্য,'সেই সময় সবাই বিরাটের পাশে দাঁড়িয়েছে। ওর সতীর্থদের থেকে শুরু করে বোর্ডের সবাই বিরাটের পাশে ছিল। যদি এটা বলা হয় যে কেউ ওর পাশে দাঁড়ায়নি, তাহলে সেটা ভুল বলা হবে। ওকে মাঝেমাঝেই বিশ্রাম দেওয়া হয়। ও যাতে নিজেকে চাঙ্গা করে নিতে পারে সেই সুযোগ দেওয়া হয়। তাছাড়া বিরাট যখন অধিনায়কত্ব ছাড়ল বোর্ডের সবাই ওকে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা জানিয়েছে। সুতরাং ও কেন এসব বলছে বোধগম্য হচ্ছে না।'
এশিয়া কাপে ভারতের অবস্থান মোটেও ভাল নয়। আর কয়েক ঘন্টা পরেই শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে 'ডু অর ডাই' ম্যাচে নামবে টিম ইন্ডিয়া। ছন্দ ফিরেও পেয়েছেন বিরাট। অনেকের দাবি ছিল ছন্দ হারানো বিরাটকে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে রাখা উচিত নয়। তবে এ বারও নিন্দুকদের গ্যালারিতে ফেলেছেন 'কিং কোহলি'। সেটা তাঁর চলতি এশিয়া কাপের পারফরম্যান্স দেখলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩৪ বলে ৩৫ করার পর, হংকং-এর বিরুদ্ধে করেছিলেন ৪৪ বলে ৫৯ রান। আর সুপার ফোরে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশের কাছে হারলেও তাঁর ব্যাট থেকে এসেছিল ৪৪ বলে ৬০ রান। এমন প্রেক্ষাপটে কি বিরাটের বিতর্কিত মন্তব্য করা উচিত ছিল? তিনি কি ঠাণ্ডা মাথায় ব্যাট করতে পারবেন? আলোচনা তুঙ্গে।