জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ফুটবল আকাশে নক্ষত্রের জন্ম দেয় বিশ্বকাপ-ইউরো। জার্মানিতে ফুটবলযজ্ঞ শুরু হওয়ার আগেই প্রায় কম-বেশি সব মিডিয়াতেই যাঁকে নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছিল। তিনি জুড ভিক্টর উইলিয়াম বেলিংহ্যাম (Jude Bellingham)। এই ব্রিটিশ মিডফিল্ডারের উপর চোখ রাখতেই হবে। এমনটাই বলা হচ্ছিল। বেলিংহ্য়াম বন্দনা কিন্তু কাতার বিশ্বকাপের আগেও হয়েছিল। বছর কুড়ির রিয়াল মাদ্রিদের নতুন তারকা প্রথম ম্য়াচেই বুঝিয়ে দিলেন যে, কেন ফুটবল গ্রহে চর্চায় তিনি। ইংল্য়ান্ড ১-০ গোলে সার্বিয়াকে হারিয়েই ইউরোর অভিযান শুরু করেছে। আর ম্য়াচের একমাত্র গোল এসেছে বেলিংহ্যামের পা থেকেই। খেলার পরেই যেন বেলিংহ্যামে মিশল দ্য় বিটল্‌স (The Beatles) ব্য়ান্ড!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: স্প্যানিশ আর্মাডার ভয়ংকর আক্রমণে বার্লিনে নিশ্চিহ্ণ ক্রোয়েশিয়া


ম্য়াচের ১৩ মিনিটে বুকাও সাকার ডান প্রান্ত ধরে ছুটে এসে বেলিংহ্য়ামকে দুরন্ত ক্রস বাড়ান বক্সে। বেলিংহ্যাম বল লক্ষ্য় করে, ছুটে এসে লাফিয়ে আগুনে হেডে বল জালে জড়িয়ে দেন। রিয়ালের হয়ে ঠিক যেখানে শেষ করেছিলেন, ঠিক সেখান থেকেই যেন শুরু করলেন ইংরেজদের হয়ে। আর এই গোলের পরেই 'দ্য় বিটল্‌স'-এর কালজয়ী গান বেলিংহ্যামকে উৎসর্গ করেছেন ব্রিটিশ ফ্য়ানরা। গ্য়ালারি তাঁদের মুখে ছিল শুধুই 'হে জুড'! বেলিংহ্যামের সঙ্গে আগেই জুড়েছিল 'হে জুড'। ইংল্য়ান্ড-সার্বিয়া ম্য়াচের নায়ক খেলার পর এই প্রসঙ্গে কথা বলেছেন।


বেলিংহ্যাম বলেন, 'আমি বিটল্‌স প্রচুর শুনি। আমার মিউজিকের পছন্দ একটু পুরনো। রাস্তায় হে জুড শুনছি। ইংল্য়ান্ড সমর্থকদের সামনে খেলা ভীষণ ভাবে উপভোগ করি। আমি অবশ্য়ই বিদেশে খেলি। তবে ইংল্য়ান্ড ফ্য়ানদের সামনে খেলার অনুভূতিই আলাদা। যতবার ইংরেজ সমর্থকদের গর্জন শুনি, আমার মন ভরে যায়। তাঁদের থেকে প্রচুর প্রশংসা ও ভালোবাস পাই। আমি চেষ্টা করি সেই প্রাণশক্তি পারউফরম্য়ান্সের মাধ্য়মে মাঠে ফুটিয়ে তুলতে।' 


লিভারপুলে ছয়ের দশকে তৈরি হওয়া ইংলিশ রক ব্য়ান্ড দ্য় বিটল্‌সের কোনও ভূমিকার প্রয়োজন নেই।  জন লেনন, পল ম্যাকার্টনি, জর্জ হ্যারিসন এবং রিঙ্গো স্টার আজও মানুষের মনে। ছয়ের দশকে তাঁদের জনপ্রিয়তা ছিল প্রশ্নাতীত। মূলত রক অ্যান্ড রোল ঘরানার হলেও লেনন অ্য়ান্ড কোংয়ের গানে মিশেছিল লোক সঙ্গীত, সাইকেডেলিক এবং ভারতীয় সঙ্গীতও। শুধু তো গানই নয়, তাঁদের  তাদের পোশাক-আশাক, কেশবিন্যাসও হয়ে গিয়েছিল স্টাইল স্টেটমেন্ট। ১৯৬৯ এ বিটল্‌স ভেঙে যায় ঠিকই, তবে আজও পৃথিবীতে বিটল্‌সের জনপ্রিয়তা প্রশ্নাতীত। আর পল ম্যাকার্টনির লেখা  'হে জুড' কাল্ট হয়েই থেকে যাবে। তাহলে ইংল্য়ান্ডের ফ্য়ানরা কি ফুটবলের লেননকে পেলেন বেলিংহ্যামের মধ্য়ে!


আরও পড়ুন:কোলনে ধেয়ে এল প্রবল 'লাল ঝড়'... খড়কুটোর মতো উড়ে গেল হাঙ্গেরি


 



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)