নিজস্ব প্রতিবেদন : ৩২২ রান তাড়া করতে হত। ৩২২। এতগুলো রান তাড়া করে এর আগে বাংলা কখনও রনজি ট্রফিতে ম্যাচ জেতেনি। তাই ঠিক ভরসা করে উঠতে পারছিলেন না বঙ্গক্রিকেটপ্রেমীরা। এর আগে ২০০৪-০৫ মরশুমে ইডেনে রেলওয়েজের বিরুদ্ধে পাঁচ উইকেটে ৩০৬ রান তাড়া করে জিতেছিল বাংলা। ২০০৫-০৬ মরশুমে দীপ দাশগুপ্তের নেতৃত্বাধীন বাংলা কর্ণাটকের বিরুদ্ধে জিতেছিল ৩০৭ রান তাড়া করে। বাংলার রনজি ইতিহাসে এই দুটোই ছিল সব থেকে বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। কিন্তু ২০১৯-এর শুরুতেই সেই রেকর্ড ভেঙে চুরমার। যেটা ভাবতেই পারেননি বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীরা, সেটাই করে দেখাল মনোজ তিওয়ারির দল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  সিডনি টেস্টে নেই ইশান্ত, দলে রাহুল, অশ্বিনকে ঘিরে ধোঁয়াশা, দুই স্পিনার খেলানোর ভাবনা বিরাটের


দিল্লিকে সাত উইকেটে হারাল বাংলা। একইসঙ্গে নক-আউট পর্বে যাওয়ার সুযোগও জিইয়ে রাখল মনোজের দল। সাত ম্যাচে খেলে বাংলার ঝুলিতে আপাতত ২২ পয়েন্ট। ৭ জানুয়ারি পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে নামবেন মনোজরা। এখন যা পরিস্থিতি তাতে সেই ম্যাচ থেকে ছয় পয়েন্ট তুলতে পারলে কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার সুযোগ উজ্জ্বল হয়ে উঠবে বাংলার সামনে। এদিন, দিল্লি-জয় মাঠে বসে তারিয়ে উপভোগ করলেন সিএবি সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে মাঠে থাকা অনেকেই এদিন বাংলার এই জয় যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না। মরশুমজুড়ে আসল সময় বাংলার ব্যাটসম্যানরা উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে এসেছেন। তাই ৩২২ রান তাড়া করে বাংলার জয় কার্যত অসম্ভব বলেই ধরে নিয়েছিলেন বঙ্গ ক্রিকেটের অতি বড় সমর্থকও। কিন্তু বাজি পাল্টে দিলেন অনুষ্টুপ মজুমদার ও অভিমন্যু ঈশ্বরণ।


আরও পড়ুন-  টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূলপর্বে নেই শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ!


মঙ্গলবার বল হাতে দলকে ভরসা জুগিয়েছিলেন অশোক দিন্দা। দ্বিতীয় ইনিংসে দিল্লি ব্যাটিং লাইনের কোমর ভেঙেছিলেন তিনি। নিয়েছিলেন পাঁচ উইকেট। বুধবার ওপেনিংয়ে বাংলাকে শক্ত ভিতে দাঁড় করান অভিষেক রমন (৫২) ও অভিমন্যু ঈশ্বরণ। ১২১ রানের ঐতিহাসিক পার্টনারশিপ খেলেন তাঁরা। শেষ ১৮৩ রানে অপরাজিত থাকেন অভিমন্যু। ২১১ বল খেলে ২৩টি বাউন্ডারি ও দুটি ওভার বাউন্ডারি মেরে দিল্লির বোলিং লাইনকে বিরক্ত করে তোলেন তিনি। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে এই নিয়ে নটি সেঞ্চুরি করে ফেললেন বছর তেইশের এই ব্যাটসম্যান।


চতুর্থ উইকেটে ঈশ্বরণ ও অনুষ্টুপ মিলে ১৮৩ রানের বিশাল পার্টনারশিপ খেললেন। জয়ের রাস্তা তখনই প্রশস্ত হতে শুরু করে। কেরিয়ারের ১৫ নম্বর অর্ধশতরান করলেন অনুষ্টুপ (৬৯)। তাঁর দায়িত্বশীল ইনিংস বাংলার জয়ের অন্যতম কারণ হয়ে থাকল। অধিনায়ক মনোজ ও বাংলার আরেক ভরসাযোগ্য ব্যাটসম্যান সুদীপ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য রান পাননি। দুই ইনিংস মিলিয়ে নয় উইকেট তুলে দিল্লি-জয়ের অন্যতম কারিগর হয়ে রইলেন পেসার অশোক দিন্দা।