নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রথম বাঙালি হিসেবে এশিয়ার সর্বোচ্চ আগ্নেয়গিরি ইরানের দামাভ্যান্ড শিখর জয় করলেন সত্যরূপ সিদ্ধান্ত ও মৌসুমি খাটুয়া। মাউন্ট দামাভ্যান্ডকে অন্যতম জাগ্রত আগ্নেয়গিরি হিসাবে মনে করা হয়। স্থানীয় সময় অনুযায়ী বেলা বারোটা চল্লিশ নাগাদ শিখরে পা রাখেন তাঁরা। ওই আগ্নেয়গিরির উচ্চতা ৫৬০৯ মিটার। সত্যরূপ সিদ্ধান্তের এটি চতুর্থ আগ্নেয়গিরি অভিযান। তাঁর লক্ষ্য সাতটি ভলক্যানিক সামিট জয় করা। সেই লক্ষ্যে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলেন সত্যরূপ সিদ্ধান্ত। আগামি জানুয়ারি মাসেই সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে সেভেন ভলক্যানিক সামিটসে ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করতে চান সত্যরূপ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সত্যরূপদের সঙ্গেই ছিলেন ভাস্বতী খাটুয়া। কিন্তু, সময় বাঁধা থাকায় বেলা একটার মধ্যে তাঁদের অভিযান চালাতেই হত। তাই শেষ পর্যন্ত ভাস্বতীকে ফিরে আসতে হয়।


৬ সেপ্টেম্বর সত্যপূর, মৌসুমি এবং ভাস্বতী মাউন্ট দামাভ্যান্ড-এর উদ্দেশে রওনা দেন। এটি ইরান এবং সমগ্র এশিয়া মহাদেশের উচ্চতম আগ্নেয়গিরি। শুক্রবার এই দলতি ১ নং ক্যাম্পে পৌঁছয়। এরপর শেষ দুই দিন তাঁরা ৩ নং ক্যাম্পে থএকেছেন। এদিন সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে তাঁরা অভিযান শুরু করেন।


বাংলার পর্বতারোহী সত্যরুপ সিদ্ধান্ত এই মুহূর্তে তাঁর স্বপ্ন থেকে কার্যত তিন ধাপ দূরে রয়েছেন। আগামী নভেম্বরের মধ্যেই তিনি আরও দুটি আগ্নেয়গিরি অভিযানের লক্ষ্য নিয়ে চলছেন। আর এরপর ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে তিনি মাউন্ট সিডলির উদ্দেশ্য ঘর ছাড়বেন। এই অভিযান সফলভাবে শেষ করতে পারলেই তিনি আগ্নেয়গিরি অভিযানের স্বপ্ন পূরণ করতে পারবেন। উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরেই সত্যরুপ 'সেভেন সামিটস'-এর সাফল্য অর্জন করেছেন। এছাড়া বিশ্বের উচ্চতম আগ্নেয়গিরি অর্থাত্ ওজোস ডেল সালাডো অভিযানও সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন। আগ্নেয়গিরি অভিযানের স্বপ্ন সম্পূর্ণ করতে পারলে সত্যরূপ সিদ্ধান্তই হবেন বিশ্বের নবীনতম পর্বতারোহী যিনি সেভেন সামিটস এবং 'সেভেন ভলক্যানিক সামিটস'- এই দুটির সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হবেন। এই অসামান্য প্রতিভাকে জি ২৪ ঘণ্টা ডট কম জানাচ্ছে আন্তরিক অভিনন্দন।