Parth Jindal | ISL Final: `এটা পেনাল্টি?` রাগে ফুঁসছেন বেঙ্গালুরুর কর্ণধার, করলেন বিস্ফোরক ট্যুইট!
Bengaluru FC owner Parth Jindal lashes out at referee after ISL Final: ফাইনাল হারের ধাক্কা মেনে নিতে পারছেন না বেঙ্গালুরু এফসি-র কর্ণধার পার্থ জিন্দাল। ট্যুইট করে সাফ জানিয়ে দিলেন যে, হতশ্রী রেফারিংই হারিয়ে দিয়েছে তাঁদের। একের পর এক বিস্ফোরক ট্যুইট করে চলেছেন পার্থ।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan) টাইব্রেকারে, বেঙ্গালুরু এফসি-কে (Bengaluru FC) ৪-৩ হারিয়ে প্রথমবারের মতো আইএসএল (ISL 2022-23 Champion) চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। অতিরিক্ত সময় পর্যন্ত খেলা ২-২ থাকায়, খেলার ভাগ্য নির্ধারিত হয়েছিল পেনাল্টি শ্যুটিংয়ে। দুই দলকে মোট তিনটি পেনাল্টি দেওয়া হয়েছিল। তবে বেঙ্গালুরু এফসি-র কর্ণধার পার্থ জিন্দাল (Parth Jindal) ৮৫ মিনিটের পেনাল্টিটি মেনে নিতে পারছেন না। রাগে ফুঁসছেন বেঙ্গালুরু এফসি-র কর্ণধার। রেফারিং নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে তিনি করলেন বিস্ফোরক ট্যুইট!
আরও পড়ুন: WATCH | ATK Mohun Bagan: মহানগরে ফিরল মেরিনার্স, বৃষ্টিতেও বীরবরণে বিমানবন্দরে জনসুনামি
ম্যাচের ৮৬ মিনিটে এটিকে মোহনবাগানের ফরোয়ার্ড কিয়ান নাসিরিকে ফেলে দিয়েছিলেন বেঙ্গালুরুর ফুটবলার। ঘটনাটি একেবারে বক্সের কাছে ঘটে। নাসিরি বক্সের মধ্যে পড়ে যেতেই রেফারি সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির নির্দেশ দেন। বেঙ্গালুরুর ফ্যানরা এই সিদ্ধান্তে ফোঁস করে উঠেছিলেন। এই ঘটনারই স্ক্রিনশট নিয়ে রবিবার ট্যুইট করেন পার্থ। তিনি লেখেন, 'আইএসএল ফাইনালে এটা পেনাল্টি? আমি দেখার জন্য মুখিয়ে রইলাম যে, কল্যাণ চৌবে আগামী মরসুম থেকে ভিএআর-এর প্রয়োগ শুরু করছেন। এই মুহূর্তে ভারতীয় ফুটবলে যা অত্যন্ত প্রয়োজন।' ম্যাচের পরেও গতরাতে ট্যুইট করেছিলেন পার্থ। তিনি লিখেছিলেন, 'দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আইএসএলে ভিএআর প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হোক। কিছু কিছু সিদ্ধান্ত বড় বড় ম্যাচ নষ্ট করে দেয়। বড় ম্যাচে প্রভাবও ফেলে। বেঙ্গালুরু এফসি-র ফুটবলারদের জন্য আমি গর্বিত। আজ তোমরা হারনি। আঘাত পেয়েছি কারণ কিছু সিদ্ধান্ত ছিল চমকে দেওয়ার মতো।'
গত পয়লা মার্চ ভিডিও অ্যাসিস্টান্ট রেফারি ওরফে ভিআআর প্রথমবার ব্যবহার হয়েছিল ভারতীয় ফুটবলে। ৭৬ তম জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ ওরফে সন্তোষ ট্রফির হাত ধরে ভিএআর দেখেছিল ভারতীয় ফুটবল। সৌদি আরবের রিয়াদে লেখা হয়েছিল অনন্য ইতিহাস। সন্তোষের নকআউট পর্যায়ের অর্থাৎ সেমিফাইনাল ও ফাইনালের ম্যাচে আরব দেশে ছিল ভিএআর। ফেডারেশন সভাপতি কল্যাণ চৌবে বলেছিলেন, 'ভিএআর এই প্রথম সন্তোষ ট্রফিতে ব্যবহার করা হল। এই প্রযুক্তিতে ম্যাচ দেখানোর জন্য ১০-১২টি ক্য়ামেরার ব্যবহার হচ্ছে। ভারতে আইটি সেক্টরে প্রচুর প্রতিভা রয়েছে। আমরা চাই কম খরচে ভারতের ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় ভিএআর ব্যবহার করতে। ' এখন দেখার সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন বা এফএসডিএল ভিএআর নিয়ে কী ভাবে।