এগিয়ে গিয়েও বেঙ্গালুরুকে আটকাতে পারল না এটিকে
ডিফেন্ডারকে ঘাড়ে নিয়ে চোখ ধাঁধানো প্লেসিং শটে গুরপ্রীতকে বোকা বানালেন কোমল থাটাল। ম্যাচের বয়স তখন সবে ১৪ মিনিট গড়িয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : আগের ম্যাচে ঘরের মাঠে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে জয়ের আত্মবিশ্বাসকে সঙ্গী করেই বুধবার যুবভারতীতে বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিল এটিকে। আর তাই শক্তিশালী বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে শুরু থেকেই প্রতি আক্রমন নির্ভর ফুটবল খেলা শুরু করে কলকাতা। ম্যাচের শুরুতে এগিয়েও শেষ রক্ষা হল না। ২-১ গোলে সুনীলদের কাছে হারল কপেলের দল।
আরও পড়ুন - সনিকে গ্রিন সিগন্যাল! নিন্দুকদের জবাব দিলেন দেবাশিস-সৃঞ্জয়রা
গোল হজম করা চলবে না সঙ্গে প্রতিআক্রমণ ফুটবল। সুনীল-মিকুদের বিরুদ্ধে শুরু থেকে এই স্ট্র্যাটেজিই নিয়েছিল কপেলের দল। বিপক্ষের আক্রমণ আটকাও সুযোগ কাজে লাগাও। বেঙ্গালুরুর মিস পাস ধরে মাঝমাঠ থেকে সান্তোস বাড়ালেন থ্রু। ডিফেন্ডারকে ঘাড়ে নিয়ে চোখ ধাঁধানো প্লেসিং শটে গুরপ্রীতকে বোকা বানালেন কোমল থাটাল। ম্যাচের বয়স তখন সবে ১৪ মিনিট গড়িয়েছে। বেঙ্গালুরুর মতো দলের বিরুদ্ধে খেলার শুরুতেই এগিয়ে গেল এটিকে। পিছিয়ে পড়ে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠলেন সুনীল-মিকুরা। কপেলের রক্ষনাত্মক নীতি প্রথমার্ধে প্রায় ক্লিক করে গিয়েছিল। কিন্তু এটিকে রক্ষণে ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করে যাওয়া বেঙ্গালুরু প্রথমার্ধে ইনজুরি টাইমে বক্সের বাইরে থেকে ফ্রি কিক পায়। আর সেই ফ্রিকিক থেকে সমতা ফেরালেন মিকু।এদিকে চোট পেয়ে কালু উচে ততক্ষনে মাঠ ছেড়ে গিয়েছেন।
দ্বিতীয়ার্ধ শুরুতেই গোল। রক্ষণে চিড় ধরিয়ে পাতালুর শট এগিয়ে দেয় সুনীলদের। এরপর তাদের কাজটাই অনেক সুবিধে হয়ে যায়। ৬০ শতাংশ বল পজেসন রেখে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ নিজেদের দখলে করে নেয়। ঘরের মাঠেও কেন এত রক্ষনাত্মক কপেল? এগিয়ে গিয়েও হারতে হল এটিকে-কে। যেই রক্ষনের ওপর ভর করে ইংরেজ কোচ গোল না খাওয়ার লক্ষ্য রেখেছিলেন। সেই তারাই হজম করলেন দু-দুটি গোল। ছয় ম্যাচ খেলে এখন লিগ টেবিলে টেবিলে পাঁচ নম্বরে এটিকে।