রবিবারের বড় ম্যাচে গুরু-শিষ্যের লড়াইয়ে শিষ্যকে `গুরু` মানছেন সুভাষ
মোহনবাগানের কোচ থাকাকালীন তরুণ শঙ্করলাল চক্রবর্তীকে তাঁর সহকারি হিসেবে নিয়ে এসেছিলেন সুভাষ ভৌমিক।
সুখেন্দু সরকার
যুবভারতীতে রবিবার ডিকা-অ্যাকোস্তার ডুয়েলের মতোই ডার্বিতে অন্যতম আকর্ষণ হতে চলেছে গুরু-শিষ্যের লড়াই। 'গুরু' সুভাষ ভৌমিক বনাম 'শিষ্য' শঙ্করলাল চক্রবর্তীর দ্বৈরথ এবারের বড় ম্যাচের বড় আকর্ষণ হতে চলেছে।
মোহনবাগানের কোচ থাকাকালীন তরুণ শঙ্করলাল চক্রবর্তীকে তাঁর সহকারি হিসেবে নিয়ে এসেছিলেন সুভাষ ভৌমিক। তারপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। সেদিনের সহকারি শঙ্করলাল এখন মোহনবাগানের হেড কোচ। বড় ম্যাচে রবিবারই প্রথমবার মুখোমুখি হতে চলেছেন সুভাষ-শঙ্কর। ৯০ মিনিটের মস্তিষ্কের লড়াইয়ে নামার আগে একে অপরের প্রশংসা করছেন। কয়েকদিন আগেই গুরু-শিষ্যের লড়াই প্রসঙ্গে সুভাষ ভৌমিক তো শঙ্করলালকেই 'গুরু' বলেছিলেন। আশিয়ানজয়ী কোচ সেদিন বলেছিলেন "কে শিষ্য? ও(শঙ্করলাল)আমার গুরু। ওর এখানে (মাথায় দিকে ইঙ্গিত করে) যা রয়েছে তার পাঁচ শতাংশ থাকলে আমি এতদিনে মানুষ হয়ে যেতাম!"
আরও পড়ুন - ডার্বি জয়ের স্বপ্নে স্বপ্না'ই হাতিয়ার 'বিনয়ের অবতার' শঙ্করের
শনিবার বড় ম্যাচের আগের দিন শঙ্করলাল চক্রবর্তী বলেন, "আমাদের তো কোনও লড়াই নেই। সে তো মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলের লড়াই। ভৌমিকদা আরও কঠিন! কারণ আগেও বলেছি, ভারতবর্ষের ফুটবলের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কোচ। তাঁর অতীতের সাফল্যেই সে কথা বলে দেয়। উনি যতগুলি ডার্বি কোচিং করিয়েছেন, খেলা তো ছেড়েই দাও, হয়তো আমার তত বয়সই নয়। ওনার অভিজ্ঞতা আমার থেকে তো বেশি হবেই। প্রতিটা স্টেপ আমাকে সাবধান থাকতে হবে।" গুরু সুভাষ ভৌমিককে যতই সম্মান করুন না কেন, মনস্তাত্বিক লড়াইয়ে কিন্তু ছাড়ছেন না বাগান কোচ। রবিবারের বড় ম্যাচে তাই 'গুরু' সুভাষ ভৌমিকের দলকে এগিয়ে রেখেই মাইন্ড গেম শুরু করে দিলেন 'শিষ্য' শঙ্করলাল।