ওয়েব ডেস্ক : “ম্যাগনিফিস্যান্ট”। “পারফেক্ট টিমম্যান”। “থ্যাঙ্কস”। ১৮তম ওভার শেষে বিরাট যখন নন স্ট্রাইকিং এন্ডে এসে দাঁড়াচ্ছেন, তখন অভিজ্ঞ ধারাভাষ্যকারের মুখ থেকে ছিটকে এসেছিল এই তিনটে শব্দই। আর মোহালিতে ভারতের অজি বধ বোঝাতে এই তিনটে শব্দই যথেষ্ট। ৫১ বলে ৮২, অপরাজিত। ম্যাচের নায়ক তিনিই। ভারতের জয়ের কাণ্ডারী তিনিই। ইদানিংকালে, আপামর ক্রিকেটপ্রেমী ভারতবাসীর কাছে একটাই ভরসাজনক নাম বিরাট কোহলি। ম্যাচে তাঁর ব্যাট ঝলসে উঠলেই স্বস্তি পায় গ্যালারির দর্শক থেকে টিভির সামনে বসে থাকা অগুনতি দর্শক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জয়গাথাটা লেখা হয়ে গিয়েছিল ১৮ তম ওভারেই। ১৭ তম ওভার শেষে জিততে গেলে ভারতের দরকার ১২ বলে ২০ রান। চোটে পেয়ে আহত অধিনায়ক ধোনি। মাঠে উপস্থিত ফিজিও। চলছে শ্রূষুষা। উত্তেজনায় তখন দমবন্ধ হয়ে আসছে যেন। ভরসা ও প্রার্থনা তখন ‘বিরাট’। এর আগেই অবশ্য কোহলির অর্ধশতরান পূর্ণ হয়ে গেছে।


১৮ তম ওভারের প্রথম বলটা ডট হওয়ার পর দীর্ঘশ্বাস ছড়িয়ে পড়ল গ্যালারিতে। কিন্তু, তিনি বিরাট! পরের বলেই হাঁকালেন ৪। যদিও, নিষ্ঠুর নিয়তি! পরের বলে আবার ০ রান। জিততে গেলে তখন দরকার ৯ বলে ১৬ রান। এরপরেরটা শুধুই ‘ম্যাজিক’ আর বিরাটের চওড়া ব্যাটে ভর করে যেন ‘ইতিহাস’ লেখা। ৪, ৪, ৪। এক ওভারে ১৬ রান নিয়ে বিরাট যখন থামলেন, তখন আর ভারতের দরকার ৬ বলে ৪ রান। ক্যাপ্টেন কুলের হাতে জেতানোর শেষ দায়িত্বটুকু সমর্পণ করছেন নন স্ট্রাইকিং এন্ডে ফেরেন বিরাট। শেষ ওভারের প্রথম বলেই ৪ হাঁকিয়ে সেমিফাইনালে ভারতের নামটা নিশ্চিত করেন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি।


জেতার পর আবেগতাড়িত বিরাটকে দেখা গেল বসে পড়ে মাঠকে চুম্বন করতে।  আকাশের দিকে তাকিয়েও যেন একবার প্রণাম করলেন তিনি। পরে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে নিজেও বললেন, “আমি খুব আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছি। আমার জীবনের সেরা ৩টে ইনিংসের মধ্যে এটা থাকবে।”


জেতার সঙ্গে সঙ্গেই দেশজুড়ে শুরু হয়ে যায় উচ্ছ্বাস। আট থেকে আশি নেমে আসে রাস্তায়। শুরু হয় উদ্দাম নাচ, গান আর হুল্লোড়। জাতীয় পতাকা হাতে রাস্তায় নেমে পড়েন ক্রিকেটপ্রেমীরা। বাদ যাননি মহিলারাও। দেশ।গভীর রাত পর্যন্ত চলে সেমি ফাইনালে ওঠার আনন্দ। সবার মুখেই তখন বিরাট স্তুতি।