৭-১ দুঃস্বপ্ন! গোলের জাল ছিঁড়ে `অদ্ভুত কাণ্ড` করবে ব্রাজিল
সেই স্মৃতি জেগে উঠলে সঙ্গে সঙ্গে একটা সুখকর দিকও মনের ভিতর থাকবে।
নিজস্ব প্রতিনিধি : দুঃখের স্মৃতি আগলে থাকার মানে হয় না। তাই হয়তো এরকম একটা উদ্যোগ নিয়েছে ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন।
আরও পড়ুন- শেষ বিশ্বকাপ খেলতে জাতীয় শিবিরে যোগ দিলেন সিআরসেভেন
৮ জুন এল বলে! ব্রাজিল ফুটবলের সেই কালো দিন। ৭-১ গোলে জার্মানির কাছে বিপর্যস্ত হওয়ার দিন। কে না ভুলতে চাইবে এরকম একটা দুঃখে ভরা স্মৃতি! ব্রাজিলও চায়। কিন্তু চাইলেই কী আর পারা যায়! ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন একটু অন্যভাবে ভাবছে তাই। তাতে ৭-১ হারের দুঃখ কাঁদাবে ঠিকই। কিন্তু সেই স্মৃতি জেগে উঠলে সঙ্গে সঙ্গে একটা সুখকর দিকও মনের ভিতর থাকবে। প্রথমার্ধে ৫ গোল। দ্বিতীয়ার্ধে আরও দুটো। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য অস্কার একখানা গোল শোধ দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। তাতে যন্ত্রণায় কাতর ব্রাজিল ফুটবল সমর্থকদের স্বান্তনাটুকু জুটেছিল। বিশ্ব ফুটবলের বিরাটাকার দৈত্যকে ৭ গোল দেওয়া বারপোস্টগুলো কিন্তু জার্মানরা ইতিমধ্যে নিজেদের দেশে নিয়ে যাওয়ার বন্দোবস্ত করেছে। ক্রসবার ও পোস্টগুলো তারা নিজেদের দেশের এক মিউজিয়ামে রাখার পরিকল্পনা করেছে। আর ব্রাজিল ফুটবল সংস্থা ঠিক করেছে, যে গোলে তারা ৭ গোল হজম করেছে তার জালটাকে ৮,১৫০ টুকরো করবে। আর প্রতিটা টুকরোকে তারা ৮৩ ডলারের দরে নিলামে তোলার কথা ভাবছে। নিলামে অন্তত ৫ লক্ষ ৮৬ হাজার ডলার ওঠার কথা। পুরো টাকাটাই সেবামূলক কাজে ব্যবহার করা হবে।
আরও পড়ুন- চোটের ভান করে সতীর্থদের ইফতার মিল খাওয়ালেন তিউনেসিয়ার গোলরক্ষক
বেলো হরাইজন্তের মিনেইরো স্টেডিয়ামে ৭ গোলের দুঃস্বপ্ন তাড়া করেছিল ব্রাজিলের জাতীয় ফুটবল দলকে। ওই ম্যাচের একটি গোল মাঠেই রেখে দেওয়া হবে বলে ঠিক করেছে মিনেইরো কর্তৃপক্ষ। আরেকটি গোলের জাল কয়েকদিনের মধ্যেই নিলামে উঠবে। মিনেইরোর ডিরেক্টর স্যামুয়েল লয়েড বলছেন, ''৭-১ হারটা আমাদের কাছে জাতীয় শোকের মতো। দুঃখ হয়তো ভুলতে পারব না। কিন্তু দুঃখটা থেকে পজিটিভ কিছু করা গেলে ক্ষতি কী!''