নিজস্ব প্রতিনিধি : ৩৭ বছর বয়স তাঁর। কেউ বলবে! এখনও ফিটনেসের চূড়ান্ত পর্যায় রয়েছেন ব্রেন্ডন ম্যাকুলাম। ক্রিকেটবিশ্বে অ্যাথলিট হিসাবে তাঁর নাম-ডাক রয়েছে। বরাবরই তিনি ভাল ফিল্ডার। যদিও এমন অনেক ভাল ফিল্ডারেরই বয়সের ভারে রিফ্লেক্স কমে যায়। কিন্তু এখনও সমান তালে চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি এখনও শ্লথ হয়ে যাননি। বিগ ব্যাশ লিগে তিনি সেটাই যেন আরও একবার প্রমাণ দিয়ে গেলেন। আইপিএলে এবার তাঁকে কোনও দল কেনেনি। বিগ ব্যাশে খেলছেন জান-প্রাণ লড়িয়ে। সেখানেও যেন প্রতিনিয়ত নিজেকে প্রমাণ করে চলেছেন ম্যাকুলাম।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  নিউ জিল্যান্ড সফরে টিম ইন্ডিয়া : অকল্যান্ডে পৌঁছে গেল ভারতীয় দল


কিছুদিন আগে বিগ ব্যাশে ব্রিসবেন হিট বনাম পার্থ স্কর্চার্সের ম্যাচে দুর্দান্ত একখানা ক্যাচ ধরেছিলেন ম্যাকুলাম। সেই ম্যাচেই তিনি বাউন্ডারির সামনে শূন্যে শরীর ছুঁড়ে বল বাঁচিয়েছিলেন। তার ওরকম ফিল্ডিং নিয়ে এর পর প্রশংসা এসেছিল চারপাশ থেকে। অনেকেই তাঁকে গোলকিপার হিসাবে ব্যাখ্যা করেছিলেন। এবার আরও একবার নিজেকে প্রমাণ করে গেলেন নিউজিল্যান্ডের তারকা। ব্রিসবেন হিটের হয়ে তাঁর ব্যাট কথা বলছে। ফিল্ডিংয়েও সমান দক্ষতা দেখিয়ে চলেছেন ম্যাকুলাম। তবে তাঁর এমন ফিল্ডিংয়ের পর ক্রিকেট আইন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। 


আরও পড়ুন-  অনুষ্কাই কি অনুপ্রেরণা! স্টাইলিশ জিন্সে রকিং এমএসডি



সিডনি সিক্সার্সের জেমস ভিন্স লং অফ দিয়ে ছক্কা মারতে চেয়েছিলেন। ম্যাচের ১৭তম ওভারে। ম্যাকুলাম বাঁচিয়ে দেন। লাফ দিয়ে বলটা বাঁচিয়েই মাটিতে পড়ে যান। ততক্ষণে ম্য়াকুলামের শরীর বাউন্ডারি পার করে ফেলেছে। বলটাও সেদিকেই যাচ্ছিল। ওই পজিশনে ক্যাচ ধরলে ছক্কা নিশ্চিত। ম্য়াকুলাম আবর শরীরটাকে শূন্যে ছুঁড়ে বল বাঁচালেন। বল পাঠালেন মাঠে। নিজে পড়লেন বাউন্ডারির ওপর। ছক্কা বাঁচালেন ম্যাকুলাম। দুই রান নিলেন ভিন্স। ম্যাকুলামের দুর্দান্ত ফিল্ডিং নিয়ে বিগ ব্যাশে বিস্তর আলোচনা হল। এই বয়সেও এত ভাল রিফ্লেক্স! ম্য়াকুলামের ক্ষীপ্রতা নিয়েও বিস্তর প্রশংসা হল। তবে ক্রিকেটের নিয়ম নিয়ে প্রশ্ন উঠল। বল ও ফিল্ডার (ম্যাকুলাম) দুজনেই মাঠের বাইরে ছিলেন। তবু ক্রিকেটের আইন অনুযায়ী, ওভারবাউন্ডারি দেননি আম্পায়ার। কারণ, ক্রিকেটের আইন, বল প্রথমবার ছোঁয়ার সময় ম্যাকুলাম বাউন্ডারির ভেতরে ছিলেন। দ্বিতীয়বার বল ছোঁয়ার সময় ছিলেন শূন্যে। উল্লেখ্য, এই ম্য়াচে অবশ্য ম্য়াকুলামের দল হেরেছে।