Brij Bhushan Sharan Singh VS Wrestlers Protest: অভিযুক্ত ব্রিজভূষণকে ৯ জুনের মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে, কেন্দ্রকে চাপে রাখলেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই আসরে নেমেছে বিশ্ব কুস্তির নিয়ামক সংস্থা ইউনাইটেড ওয়ার্ল্ড রেসলিং। বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়েছে, যেভাবে কুস্তিগীরদের মারধর করে আটক করা হয়েছে, তাদের ধরনাস্থল থেকে উচ্ছেদ করেছে আধিকারিকরা, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। কয়েকদিনের মধ্যেই কুস্তিগীরদের সঙ্গে দেখা করতে আসবেন সংস্থার প্রতিনিধিরা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আর সময় দেওয়া যাবে না। আগামী ৯ জুনের মধ্যে ব্রিজভূষণ শরণ সিং-কে (Brij Bhushan Sharan Singh) গ্রেফতার করতে হবে। নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) কেন্দ্র সরকারকে এমনই হুমকি দিলেন ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের (Bharatiya Kisan Union) প্রধান রাকেশ টিকায়েত (Rakesh Tikait)। শুক্রবার অর্থাৎ ২ জুন, হরিয়ানার কুরুক্ষেত্রে মহাপঞ্চায়েত বসেছিল। সেখানেই ফের একবার সাক্ষী মালিক (Sakshi Malik), ভিনেশ ফোগাট (Vinesh Phogat), বজরং পুনিয়াদের (Bajrang Punia) পাশে দাঁড়ালেন রাকেশ টিকায়েত।
রাকেশ টিকায়েত বলেন, "যদি আমাদের ৯ জুন যন্তর মন্তরে বসতে না দেওয়া হয়, তা হলে আন্দোলনের ঘোষণা করা হবে। ব্রিজভূষণের গ্রেফতারি চাই আমরা। আর কোনও রকম আপসের রাস্তায় হাঁটতে রাজি নই। যদি ব্রিজভূষণকে গ্রেফতার না করা হয়, তা হলে ৯ জুন যন্তর মন্তরে যাব। দেশ জুড়ে পঞ্চায়েত আয়োজন করা হবে। কুস্তিগিরদের বিরুদ্ধে যে মামলা করা হয়েছে তা এখনই প্রত্যাহার করতে হবে এবং যত দ্রুত সম্ভব ব্রিজভূষণকে গ্রেফতার করতে হবে।"
কুস্তিগীরদের ক্রমাগত আন্দোলনের মধ্যেই দিল্লি পুলিসের (Delhi Police) দাবি ছিল, ব্রিজভূষণ বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। যদিও একটা সময় শোনা যায়, দিল্লি পুলিসের দাবি ছিল, 'পকসো' আইনে (POCSO ACT) অভিযুক্ত ব্রিজভূষণকে গ্রেফতার করার প্রশ্নই নেই। কারণ তাঁর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে শুধু দিল্লি পুলিস নয়, ব্রিজভূষণের পাশে দাঁড়িয়েছেন এক নাবালিকা কুস্তিগীরের পরিবার। জানা গিয়েছে, সেই নাবালিকা কুস্তিগীরের কাকার নাম অমিত পালোয়ান। কুস্তি ফেডারেশন সচিবের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআরের তদন্ত করতে অমিতের বাড়িতে গিয়েছিল পুলিস। সেই সময়েই গোটা ঘটনা জানতে পেরেছেন । যদিও নাবালিকা কুস্তিগীর ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে অমিতের সম্পর্ক ভালো নয় বলেই জানা গিয়েছে। কিন্তু তাঁর মতে, ব্রিজভূষণকে ফাঁসাতেই তাঁর পরিবারকে ব্যবহার করছেন কুস্তিগীররা।
এদিকে আন্দোলনরত কুস্তিগীরদের যৌন নিগ্রহের (Sexual Harassment) ঘটনায় অভিযুক্ত ব্রিজভূষণ বলেছিলেন, "যদি আপনাদের কাছে কোনও প্রমাণ থাকে, তাহলে আদালতে জমা দিন। তাতে আমি যে কোনও শাস্তি গ্রহণ করতে রাজি আছি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ফাঁসিতে ঝুলে যাব!"
তবে এতে সমস্যা মিটে যাওয়ার নাম-গন্ধ নেই। সাক্ষী-ভিনেশরা কিন্তু থেমে থাকার পাত্র নন। কুস্তিগীররা এবার দিল্লি পুলিসের (Delhi Police) কাছে দায়ের করা দু’টি এফআইআরে মোট ১০টি নিগ্রহের ঘটনার উল্লেখ করেছেন। সেখানে নির্দিষ্ট করে বলা আছে কোথায়, কখন, কাকে নিগ্রহ করেছেন ব্রিজভূষণ।
শুধু প্রাপ্তবয়স্ক নন, এমনকি বেশ কয়েকজন অপ্রাপ্তবয়স্ক মহিলা কুস্তিগীরও ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ করেছিলেন। সেই অপ্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদের দাবি ছিল, তাঁদের সঙ্গে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করার জন্য বারবার বিরক্ত করেছিলেন ব্রিজভূষণ। গত ২৮ এপ্রিল দিল্লি পুলিসের কাছে মোট দুটি এফআইআর দায়ের করেছিলেন দেশের প্রথমসারির কুস্তিগীররা। ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে ৩৫৪, ৩৫৪এ এবং ৩৪ ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। এরমধ্যে একটি এফআইআর-এ বলা হয়েছে ছ’জন প্রাপ্তবয়স্ক কুস্তিগীরের কথা। দ্বিতীয়টিতে এক অপ্রাপ্তবয়স্ক কুস্তিগীরের বাবা অভিযোগ করেছেন ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে। তবে এখনও বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন অভিযুক্ত কর্তা।