ক্রিকেট ফিরবে, কিন্তু মানতে হবে এতগুলো নিয়ম! গাইডলাইন দিল সিএবি
বাংলা ক্রিকেট দলের অনুশীলন শুরু করতে চিকিৎসকরা কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন— মারণ করোনাভাইরাস কবে নির্মূল হবে তা এখনও অজানা। প্রায় আড়াই মাস হতে চলল দেশজুড়ে সমস্ত খেলাধুলা বন্ধ। তবে ইতিমধ্যেই কেন্দ্র সরকারের নির্দেশিকা চলে এসেছে সমস্ত ক্রীড়া সংগঠনগুলির কাছে। কীভাবে আবার ময়দানে ফেরা সম্ভব তা নিয়ে সিএবির মেডিকেল কমিটির বৈঠক হয়। সিএবির কর্তারা ছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মেডিকেল কমিটির চিকিৎসকরা। বাংলা ক্রিকেট দলের অনুশীলন শুরু করতে চিকিৎসকরা কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন— লকডাউনে 'One Drop One Hand' ক্রিকেটে ফিরে গেলেন মহম্মদ শামি
১. অনুশীলনের আগে গোটা চত্বরকে জীবাণুমুক্ত করতে স্যানিটাইজেশন করতে হবে। ক্লাব হাউজ চত্বর এবং নবনির্মিত ইনডোর জুড়ে স্যানিটাইজেশন করতে হবে। শৌচালয়গুলিকে জীবাণু মুক্ত রাখা বাধ্যতামূলক।
২. আপতকালীন অবস্থার জন্য একটা আলাদা আইসোলেশন রুম রাখা বাধ্যতামূলক।
৩. অনুশীলন চলার সময় কোন ক্রিকেটার বা কোচ বা সাপোর্ট স্টাফের কারোও মধ্যে করোনা ভাইরাসের লক্ষণ দেখা গেলে তাকে সরাসরি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা উচিত।
আইসিসির নির্দেশিকা মেনে অনুশীলনেও বেশ কয়েকটি রদবদলের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
ক. বলে থুতু বা ঘাম লাগানো নিষেধ।
খ. ক্রিকেটারদের অনুশীলনে আসার সময় তাদের সরঞ্জামগুলিকে যথাযথভাবে স্যানিটাইজেশন করতে হবে। প্রত্যেক বোলারের জন্য নির্দিষ্ট কয়েকটি বল দেওয়া হবে।
গ. আপাতত কমসংখ্যক ক্রিকেটারদের নিয়ে অনুশীলন শুরু করা যেতে পারে। তবে অনুশীলনে ক্রিকেটারদের মধ্যে সোশাল ডিস্টেন্সিং রাখা বাধ্যতামূলক।
ঘ. আপাতত ক্রিকেটারদের জন্য চেঞ্জিং রুম থাকছে না। অনুশীলনে আসার সময় নির্দিষ্ট প্র্যাকটিস জার্সি পরেই আসতে হবে ক্রিকেটারদের।
ঙ. মাঠে ঢোকার সময় প্রত্যেকের থার্মাল স্ক্রিনিং বাধ্যতামূলক।
এছাড়া করোনা ভাইরাস মোকাবিলার জন্য ক্রিকেটারদের আলাদা করে ক্লাস নেওয়া হবে। করোনাভাইরাস রুখতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত সেই সংক্রান্ত বিষয় তুলে ধরা হবে সেই ক্লাসে। সরকারি নির্দেশিকা পাওয়ার পরেই জিম চালু হবে। সুইমিং পুল আপাতত বন্ধ রাখা হচ্ছে। তবে লোকাল ক্রিকেট চালু করার ব্যাপারে এখনই সায় দিচ্ছেনা সিএবির মেডিকেল কমিটি।