নিজস্ব প্রতিবেদন :  বুধবার রুদ্ধশ্বাস এক লড়াইয়ের সাক্ষ্মী থাকল ইত্তিহাদ স্টেডিয়াম। পরতে পরতে উন্মাদনা। ক্লাইম্যাক্সে রোমাঞ্চ। ৪-৩ গোলে ম্যাচ জিতল ম্যান সিটি। দুই লেগ মিলিয়ে স্কোরলাইন ৪-৪। জিতেও এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নিতে হল ম্যাঞ্চেস্টার সিটিকে। আর হেরেও অ্যাওয়ে গোলের নিরিখে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে টটেনহ্যাম হটস্পার। সেই সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে ১৯৬১-৬২ সালের পর আবার সেমি ফাইনালে উঠল টটেনহ্যাম।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সন হিউং মিন। টটেনহ্যামের এই দক্ষিণ কোরিয়ার ফুটবলারটিই এখন খবরের শিরোনামে। ঘরের মাঠে প্রথম লেগে জয়সূচক গোলের পর দক্ষিণ কোরিয়ার এই স্ট্রাইকার ইত্তিহাদেও জোড়া গোল করলেন। রহিম স্টার্লিংয়ের জোড়া গোলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল সিটিও। ১১ মিনিটের মধ্যে চার গোল। রোমাঞ্চের শুরু চতুর্থ মিনিটে রহিম স্টার্লিংয়ের গোলে। তিন মিনিট পরেই সমতা ফেরালেন সন হিউং মিন। আরও ৩ মিনিট পরেই ব্যবধান বাড়ালেন টটেনহ্যামের দক্ষিণ কোরিয়ান স্ট্রাইকার। পরের মিনিটেই বের্নার্দো সিলভার গোলে সমতায় ফেরে সিটি।  



২১মিনিটে কেভিন ডি ব্রুইন এবং রহিম স্টার্লিংয়ের দুরন্ত বোঝাপড়ায় ৩-২ গোলে এগিয়ে যায় সিটি। দুই লেগ মিলিয়ে স্কোরলাইন ৩-৩। তখনও মূল্যবান অ্যাওয়ে গোলে অ্যাডভান্টেজ টটেনহ্যান হটস্পার। বিরতির পরেই টটেনহ্যাম রক্ষণে চাপ বাড়াতে থাকা সিটিকে ৪-২ ব্যবধানে এগিয়ে দেন সের্জিও আগুয়েরো। দুই লেগ মিলিয়ে স্কোরলাইন তখন ৪-৩। আর এতেই সেমি ফাইনালের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে দেন সিটি সমর্থকরা। কিন্তু নাটকের তখনও বাকি। ৭৩ মিনিটে  গোল করেন টটেনহ্যামের ফার্নান্দো লরেন্তে। ভিএআর সাহায্যে গোলের সিদ্ধান্ত নেন রেফারি। দুই লেগ মিলিয়ে স্কোরলাইন হয় ৪-৪। কিন্তু অ্যাওয়ে গোলের হিসেবে ফের এগিয়ে যায় টটেনহ্যাম।


আরও পড়ুন - লালরিনডিকা রালতের সঙ্গে চুক্তি বাড়াল ইস্টবেঙ্গল


আর ইনজুরি টাইমে স্টার্লিং গোল করলে উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন ম্যান সিটি সমর্থকরা। কিন্তু আগুয়েরো অফসাইডে থাকায় ভিএআরের সাহায্যে গোলটি বাতিল হয়। ইউরোপ সেরার মঞ্চ থেকে বিদায় ম্যাঞ্চেস্টার সিটির। আর শেষ চারে পৌঁছে গেল মৌরিসিও পচেত্তিনোর টটেনহ্যাম হটস্পার।