নিজস্ব প্রতিনিধি : মোহনবাগানে ক্ষমতা দখলের লড়াই চলছিল কয়েক মাস ধরে। কিন্তু সেই লড়াইকে কেন্দ্র করে শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবে যে এমন কাণ্ড ঘটবে তা কেউ স্বপ্নেও কল্পনা করেননি হয়তো। বার্ষিক সাধারণ সভার আগে কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে উঠল মোহনবাগান প্রাঙ্গন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- আশঙ্কায় ভুগছেন কাবায়েরো


গত কয়েক মাস ধরেই মোহনবাগানের স্বপনসাধন বসু অর্থাত্ টুটু বোস বনাম অঞ্জন মিত্রের ঠান্ডা লড়াই চলছিল। কিন্তু শনিবার সেই লড়াই পরিণত হল হাতাহাতিতে। সদস্য-সমর্থকরা নিজেদের মধ্যে হাতাহাতি, মারামারিতে জড়িয়ে পড়লেন। শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাবের কাছে এ যেন এক কলঙ্কিত অধ্যায় হয়ে রইল। এজিএম শুরুর আগে ক্লাব প্রাঙ্গনে তৈরি মঞ্চে হাজির ছিলেন টুটু বোস ও অঞ্জন মিত্রের যুযুধান দুই পক্ষ। ছিলেন স্বপন (বাবুন) বন্দ্যোপাধ্যায়, অঞ্জন মিত্রের মেয়ে সোহিনী, জামাই কল্যাণ চৌবের মতো তাবড় ব্যক্তিরা। 


আরও পড়ুন- বিপদের 'সাইরেন' জার্মান শিবিরে


এদিন বার্ষিক সাধারণ সভা উপলক্ষ্যে ক্লাব তাবুতে মোহনবাগান জনতার একটা বড় অংশ এসেছিল। তাদের অধিকাংশই দাবি করে, বার্ষিক সাধারণ সভা পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হোক টুটু বোসকে। কিন্তু অঞ্জন মিত্র সেই দাবি মানতে চাননি। উত্তপ্ত হতে থাকে পরিস্থিতি। উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে প্রথমে সাধারণ সভা বাতিল করতে চান অঞ্জন। কিন্তু মানতে চাননি মোহনবাগান সদস্যরা। পরে সমর্থকদের চাপে বাধ্য হয়ে অঞ্জন মিত্র ঘোষণা করেন, বছরখানেক আগে টুটু বোস পদত্যাগ করলেও তা গৃহীত হয়নি।ফলে সরকারিভাবে এখনও মোহনবাগানের সভাপতি তিনিই।  বিকেল চারটে থেকে মোহনবাগানে সাধারণ সভা শুরু হওয়ার কথা ছিল। তার আগে মঞ্চে উঠে বসেন টুটু বোস। তবে সভাপতি হিসাবে একবারও তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়নি। অঞ্জন মিত্রের ঘনিষ্ঠ একদল ক্লাব সদস্য টুটু বোসকে সেই সময় মঞ্চ থেকে নেমে বসতে বলেন। আচমকা উত্তপ্ত পরিস্থিতির মাঝে পড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন অঞ্জন মিত্র। সদস্য, সমর্থকদের একাংশ পরিস্থিতি আরও জটিল করে তোলেন। সৃঞ্জয় বোস, টুটু বোসরা বারবার মাইক হাতে সদস্যদের অনুরোধ করে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি। আসরে নামেন মোহনবাগানের ঘরের ছেলে প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কিন্তু পরিস্থিতি ঠাণ্ডা করতে তিনি ব্যর্থ হন। শেষমেশ মুরারী মোহন ঘোষ প্রথম প্রস্তাব দেন টুটু বোসকে সভাপতি করার। এর পর প্রস্তাব দেন বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রসূন বন্ধ্যোপাধ্যায়। এবং এর পরই সভা শুরু হয়।


আরও পড়ুন- আর্জেন্টিনার হার, নোট লিখে নিখোঁজ কেরলের যুবক...


গত তিন মাস ধরে মোহনবাগানে পদ দখলের লড়াই চলছে। ক্লাবের একাংশের দাবি ছিল, অসুস্থতা সত্ত্বেও অঞ্জন মিত্র পদ আঁকড়ে রয়েছেন। যার জন্য সহ-সচিব ও কোষাধ্যক্ষ পদ থেকে ইস্তফা দেন সৃঞ্জয় বোস ও দেবাশিস দত্ত। দেবাশিস দত্তের ইস্তফা গৃহীত হলেও সৃঞ্জয়ের পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়নি। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি আগে থেকেই জটিল হয়ে ছিল। আর সেই জটিল পরিস্থিতি এদিন মোহনবাগানে 'কালো দিন' এর জন্ম দিল।