Deepti Sharma : চার্লি ডিন-কে রান আউট নিয়ে দীপ্তির পাশে থেকে ফের হরমনের বিস্ফোরণ
Deepti Sharma : তৃতীয় একদিনের ম্যাচ রুদ্ধশ্বাস জায়গায় পৌঁছে যায়। ৪৪ তম ওভারে যখন বাংলার মেয়ে দীপ্তি বল করতে আসেন, তখন জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ১৮ রান। হাতে ছিল এক উইকেট। প্রথম বলে এক রান হয়। দ্বিতীয় বলে কোনও রান হয়নি। তৃতীয় বলে চার্লি ডিনকে রান আউট করেন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ইংল্যান্ডের মহিলা দলকে (England Womens Cricket Team) তাদের ঘরের মাঠে উড়িয়ে হোয়াইটওয়াশ এখন অতীত। শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে এশিয়া কাপ (Asia Cup)। তবুও ভারতের মহিলা দলকে (Indian Womens Cricket Team) চার্লি ডিন-কে (Charlie Dean) রান আউট করার ইস্যু কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। ফের একবার অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌরকে (Harmanpreet Kaur) সেই রান আউট নিয়েই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হল। তবে এ বারও ফ্রন্টফুটেও খেললেন হরমন। ফের একবার সতীর্থ দীপ্তি শর্মার (Deepti Sharma) পাশে দাঁড়িয়ে চার্লি ডিনের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুললেন।
কীভাবে চার্লি ডিনকে রান আউট করেছিলেন দীপ্তি?
তৃতীয় একদিনের ম্যাচ রুদ্ধশ্বাস জায়গায় পৌঁছে যায়। ৪৪ তম ওভারে যখন বাংলার মেয়ে দীপ্তি বল করতে আসেন, তখন জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ১৮ রান। হাতে ছিল এক উইকেট। প্রথম বলে এক রান হয়। দ্বিতীয় বলে কোনও রান হয়নি। তৃতীয় বলে চার্লি ডিনকে রান আউট করেন। তৃতীয় বলটা করার মধ্যেই থেমে যান ভারতীয় অলরাউন্ডার দীপ্তি। পিছন দিকে ফেরেন এবং ভেঙে দেন স্টাম্প। অনফিল্ড আম্পায়ার তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে পাঠান। তাতে স্পষ্ট দেখা যায়, ক্রিজের বাইরে ছিলেন ডিন। আউট দিয়ে দেন আম্পায়ার। তার ফলে ঝুলনের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচে ১৬ রানে জিতে যায় ভারত।
শুক্রবার এশিয়া কাপের আগে সাংবাদিক সম্মেলনে হরমনপ্রীত বলেন, 'আমরা কয়েক ম্যাচ ধরেই লক্ষ্য করছিলাম যে চার্লি ডিন ক্রিজ ছেড়ে কয়েকটা পা এগিয়ে গিয়ে বাড়তি সুবিধা লাভের চেষ্টা করছিল। আমরা এই বিষয়ে আলোচনাও করেছিলাম নিজেদের মধ্যে। তবে ওকে এ ভাবে আউট করার কোনওরকম পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। মাঠে তো সবাই জিততেই নামে। জয়টা এবং সঠিক উপায়ে নিয়ম মেনে খেলাটা সবথেকে জরুরি। আমরা যা করেছি ক্রিকেটের নিয়মের আওতায় থেকেই করেছি। এই নিয়ে অনেক তর্ক-বিতর্ক আলোচনা হয়ে গিয়েছে। এবার সামনের দিকে তাকানোর সময় এসেছে।'
পড়ুন, বাঙালির প্রাণের উৎসবে আমার 'e' উৎসব। Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল শারদসংখ্যা
সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ শেষ হওয়ার পর হরমন যেন মানসিক ভাবে উত্তর দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েই ছিলেন। জানতেন যে, পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে তাঁকে অবধারিতভাবে 'মানকাডিং' নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে। তেমন পরিস্থিতি আসতেই সপাটে ব্যাট চালিয়েছিলেন। ব্রিটিশ প্রেজেন্টারকে দিয়েছিলেন মোক্ষম জবাব। বলেছিলেন, 'আমি ভেবেছিলাম আপনি প্রথম ৯টি উইকেট নিয়ে জানতে চাইবেন, যেগুলি তুলে নেওয়া মোটেও সহজ ছিল না।' এরপর একটু থেমে ফের যোগ করেন, 'এটা খেলার অঙ্গ। আমরা নতুন কিছু করিনি। আইসিসির নিয়মে রয়েছে। আপনি সবসময় সেই সুযোগটা নিতে চাইবেন। যেটা আমি মনে করি যে, এটা আপনার (বোলারের) সচেতনতার প্রমাণ দেয়। ব্যাটার কী করছেন, সে দিকে আপনার নজর রয়েছে। ক্যাপ্টেন হিসেবে আমি আমার ক্রিকেটারদের সমর্থন করব। আমি মনে করি না যে ও (দীপ্তি) এমন কিছু করেছে যেটা আইসিসির নিয়মে নেই। দিনের শেষে জয়টা জয়ই হয়। আপনার সেটাকে উপভোগ করা দরকার।'
ক্রিকেটের আইন কী বলছে?
মেরলিবোন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) আইনে ৪১.১৬.১ ধারা অনুযায়ী, 'মানকাডিং' পুরোপুরি আইনসিদ্ধ। ওই ধারায় বলা হয়েছে, যখন থেকে বল করা হচ্ছে শুরু করছেন বোলার, তখন থেকে যতক্ষণ না বোলারের হাত থেকে বল বেরোচ্ছে, তার মধ্যে নন-স্ট্রাইকার এন্ডে থাকা ব্যাটার ক্রিজ থেকে বেরিয়ে গেলে তাঁকে রান আউট করা যাবে। ওই ব্যাটারকে রান আউট হিসেবে দেখানো হবে বলে এমসিসি আইনে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে।