নিজস্ব প্রতিবেদন: ওভাল টেস্টের চতুর্থ দিন। ম্যাচের ফয়সলা যাই হোক না কেন, এ দিন কুকের শতরান দেখতে হাজির হয়েছিলেন দর্শকরা। ২২ গজের দিকে চাতক পাখির মতো তাকিয়ে তাঁরা। শতরানের দিকে ধিমে-তালে এগোচ্ছেন কুক-ও। সঙ্গে রয়েছেন অধিনায়ক জো রুট। এক একটা ডেলিভাকরি কুকের ব্যাট ছুঁয়ে যখন বাউন্ডারি পেরোচ্ছে আরও জোরে গান গাইছেন ব্রিটিশরা। সঙ্গে ‘বার্মি আর্মি’-র চিল চিত্কার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- ৩৩ বোতল বিয়ার! কুককে বিদায়ী উপহার সাংবাদিকের


প্রথম ইনিংসের ভুলটা আর নয়, এবার কোনও ভাবেই তীরে এসে তরী ডোবানো যাবে না। কুক সেটা করলেনও না। ব্রিটিশদের মনোবাসনা পূর্ণ করে শেষ টেস্টে উপহার দিলেন শতরানের একটা ইনিংস (১৪৭)।


আরও পড়ুন- শতরানে শুরু, শতরানেই শেষ! রূপকথার নায়ক অ্যালিস্টার কুক


৬৯ ওভারে জাদেজার বলে এক রানের জন্যই দৌড়েছিলেন ইংলিশ ওপেনার। তবে ওভার থ্রো হয়ে বল বাউন্ডারি-তে পৌঁছতেই বহু প্রত্যাশিত শতরান পেয়ে যান অ্যালিস্টার কুক। এরপর দেখা যায় ওভালের ব্যালকনি থেকে হাত তালি দিয়ে বন্ধু-কে অভিবাদন জানাচ্ছেন জেমস অ্যান্ডারসন। কুককে শেষবার সম্মান জানাতে উঠে দাঁড়াল গোটা স্টেডিয়ামও। হাততালি-তে ফেটে পড়ল গোটা ওভাল। আর এই গোটা ঘটনার সাক্ষী থাকল কুকের পরিবারও। স্ত্রী, মেয়ে এবং এলিস হান্টের গর্ভজাত সন্তান।



এমন স্মরণীয় মুহূর্তে বন্ধু, পরিবারকে পেয়ে খুশি অ্যালিস্টারও। সাংবাদিক সম্মেলনে এসেও তিনি বলে গেলেন, তাঁর জীবনের সব থেকে উজ্জ্বলতম ওভালের এই চারদিন। তাঁর সাফল্যে যেভাবে অভিবাদন জানিয়েছে তাঁর বন্ধুরা, তাঁর পরিবারের সদস্যরা, তাতে অভিভূত তিনি।



আর নতুন সদস্য, যে এখনও পৃথিবীর আলো দেখেনি, সে মাতৃগর্ভে থেকেই শতরানের সাক্ষী হওয়ায় অ্যালিস্টার আরও খুশি।