নিজস্ব প্রতিবেদন: শ্রেয়স আয়ারের (Shreyas Iyer) অনুপস্থিতিতে এবার দিল্লি ক্যাপিটালসের (Delhi Capitals) গুরুদায়িত্ব ঋষভ পন্থের (Rishabh Pant) কাঁধে। আগামিকাল আইপিএলের (IPL 2021) প্রথম ম্যাচেই পন্থ নামবেন তাঁর স্বঘোষিত গুরু এমএস ধোনির (MS Dhoni) বিরুদ্ধে। ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসের (CSK) বিরুদ্ধে খেলবে পন্থের দিল্লি। গত মরসুমে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে রানার্স হওয়া দিল্লি চাইবে ট্রফিতে কামড় বসানোর কাজটা প্রথম ম্যাচেই শুরু করে দিতে। অন্যদিকে তিনবারের চ্যাম্পিয়ন সিএসকে গত মরসুমে হতশ্রী ক্রিকেট খেলেছে। সাতে শেষ করেছিল ধোনি অ্যান্ড কোং। ১৩ বছরের আইপিএল ইতিহাসে প্রথমবার প্লে-অফে যেতে পারেনি ইয়েলো আর্মি।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দিল্লির টিমের দিকে একবার চোখ রাখা যাক:


নিঃসন্দেহে দিল্লির ব্যাটিং লাইন আপ অত্যন্ত শক্তিশালী। শিখর ধাওয়ান, অজিঙ্ক রাহানে, স্টিভ স্মিথ, পৃ্থ্বী শ ও পন্থের মতো তারকারা রয়েছেন। যাঁরা সেরাটা দিতে মরিয়া হয়ে রয়েছেন। গত মরসুমে ধাওয়ান আইপিএলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক ছিলেন। ৬১৮ রান এসেছিল তাঁর ব্যাট থেকে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সদ্যসমাপ্ত ওয়ানডে সিরিজেও তিনি ছিলেন ভাল ফর্মে। পৃথ্বী রয়েছেন আগুনে ফর্মে। গত মরসুমে পৃথ্বীর আইপিএল পারফরম্যান্স ছিল তথৈবচ। এমনকী তাঁর খারাপ ফর্ম অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেও অব্যাহত ছিল। ধারাবাহিক ভাবে রানের মুখ দেখতে না পাওয়ায় অবশেষে ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়তে হয় তাঁকে। কিন্তু বিজয় হাজারে ট্রফিতে এসে অবশেষে রানের মুখ দেখেন পৃথ্বী। বলা ভাল দুরন্ত ফর্মে ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রত্য়াবর্তন করেন তিনি। বিজয় হাজারেতে প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে তিনি এক মরসুমে ৮০০-র বেশি রান করে ইতিহাস লেখেন। আর এই ফর্মটাই তিনি আসন্ন আইপিএলে ধরে রাখতে চান। 


আরও পড়ুন: 



দিল্লি গর্ব করতে পারে তাঁদের অলরাউন্ডারদের নিয়েও। মার্কাস স্টোইনিস, শিমরন হেটমায়ার ও স্যাম বিলিংস রয়েছেন টিমে। বোলিং ইউনিটও বেশ মজবুত। ইশান্ত শর্মা, কাগিসো রাবাদা, উমেশ যাদব, ক্রিস ওকস ও অ্যানরিচ নোকিয়ারা রয়েছেন দলে। দিল্লি ক্যাপিটালস  প্রথম ম্যাচে রাবাদা-নোকিয়ার সার্ভিস পাচ্ছে না! কোভিড (Covid-19) বিধি মেনে দক্ষিণ আফ্রিকার দুই তারকা ফাস্টবোলারকে বাধ্যতামূলক সাত দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।গত মরসুমে রাবাদা-নোকিয়া দু'জনেই ছিলেন দুরন্ত ফর্মে। দিল্লিকে ফাইনালে তোলার নেপথ্যের অন্যতম কারিগর ছিলেন তাঁরা। রাবাদা পার্পল ক্যাপ পেয়েছিলেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক হয়ে। ১৭ ম্যাচে ৩০ উইকেট পান তিনি। অন্যদিকে নোকিয়া প্রথমবার আইপিএল খেলতে নেমেই চমকে দিয়েছিলেন। ১৬ ম্যাচে ২২ উইকেট তুলে নেন তিনি।



এবার চেন্নাই টিমের দিকে একবার চোখ রাখা যাক:


চেন্নাই কিন্তু এবার কোর টিমের অনেককেই ছেড়ে দিয়েছে। তবে তাদের সর্বকালের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক সুরেশ রায়না ফিরে এসেছেন দলে। ৫৬৩৮ রান করা বাঁ-হাতি মারকুটে ব্যাটসম্যান গত মরসুমে আইপিএল খেলেননি ব্যক্তিগত কারণে। রায়না টপ-অর্ডারে যে শক্তি বাড়াবে তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। এছাড়াও তরুণ রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান ফাফ দু প্লেসি রয়েছেন। পুরনো প্লেয়ারদের মধ্যে এমএস ধোনি ছাড়াও রয়েছেন আম্বাতি রায়ডু। তরুণ মুখের মধ্যে আলাদা নজর থাকবে স্যাম কারানের দিকে। রয়েছেন মইন আলি ও আগামীর তারকা শাদূল ঠাকুর। ব্যাটে-বলে তিনি ছাপ রাখতে পারেন। রয়েছেন দীপক চাহার ও রবীন্দ্র জাদেজা।


সিএসকে ভেবেছিল এই মরসুমে হ্যাজেলউড তাদের তুরুপের তাস হবে। কিন্তু বায়ো-বাবলের ক্লান্তি ও অস্ট্রেলিয়ায় আসন্ন শীতকালীন মরসুমের কথা ভেবেই তিনি আইপিএল থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেন শেষ মুহূর্তে। তাঁর বদলে সিএসকে দলে নিল বাঁ-হাতি পেসার জেসন বেহেরনডর্ফকে। বেহেরনডর্ফ মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের (Mumbai Indians) হয়ে ২০১৯ সালে আইপিএল অভিষেক করেন। পাঁচ ম্যাচে পাঁচ উইকেট পাওয়া ক্রিকেটারকে গতবছরের অধিকাংশ সময়টাই কাটাতে হয়েছে রিহ্যাবে। পিঠের অস্ত্রোপচারের জন্যই দীর্ঘদিন খেলার বাইরে ছিলেন তিনি। কিন্তু এখন তিনি পুরো ফিট। দেশের হয়ে ১১টি একদিনের ম্যাচ ও ৭টি আন্তর্জাতিক টি-২০ খেলা বেহেরনডর্ফ ধোনির টিমের হয়ে সেরাটা দিতেই মরিয়া। 


এখন দেখার পন্থ কি গুরুকে হারাতে পারবে?