নিজস্ব প্রতিনিধি- এমনিতেই দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন শহর। অপরাধ প্রবণতার নিরিখে কেপটাউন শহর সারা বিশ্বের মধ্যে আট নম্বরে রয়েছে। তারমধ্যে লকডাউন-এর জের দক্ষিণ আফ্রিকার রাজধানী শহরে যেন পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দুষ্কৃতীদের দাপাদাপি। দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যতম সেরা পেসার ডেল স্টেইনও দুষ্কৃতীদের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না। এক সপ্তাহের মধ্যে তিনবার তাঁর বাড়িতে ডাকাতির চেষ্টা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্টেইন। তবে তিনবারের একবারও দুষ্কৃতীরা কার্যসিদ্ধি করতে পারেননি। স্টেইনের বাড়ির নিরাপত্তা ব্যবস্থা এতই ভাল যে গেটের তালা ভাঙা সত্ত্বেও বাড়ির ভেতর পর্যন্ত প্রবেশ করতে পারেননি দুষ্কৃতীরা। তাই তিনবারের একবারও তার বাড়ি থেকে কিছু খোয়া যায়নি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এক সপ্তাহের মধ্যে তিনবার ডাকাতির চেষ্টায় খবর জানিয়েছেন স্টেইন নিজেই। তিনি এমনও বলেছেন লকডাউনের জেরে দুষ্কৃতীদের দাপাদাপি বেড়েছে শহরে। এমনিতে কেপটাউন শহর থেকে স্টেইনের বাড়ি খুব বেশি দূরে নয়। দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিডস্টার সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ''গত শুক্রবার থেকে আমার বাড়িতে পরপর তিনবার ডাকাতির চেষ্টা করা হয়েছে। গতকাল কিছু দুষ্কৃতী আমার বন্ধুর গাড়ি ভাঙচুর করে। তবে এবার তালা ভাঙার ঘটনায় আমার মা ভীষণ ভয় পেয়ে গিয়েছেন। কারণ সেই সময় তিনি বাড়িতে একা ছিলেন। করোনার জেরে হওয়া লকডাউন মানুষকে বেপরোয়া করে তুলেছে। বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। হাতে পর্যাপ্ত টাকা নেই। আর তাই পাল্লা দিয়ে দুষ্কৃতীদের তান্ডব বাড়ছে। 


আরও পড়ুন-  সেই পুরনো রোগে আক্রান্ত ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো!


কিছুদিন আগেই লন্ডনে নিজের বাড়িতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ইংরেজ ফুটবলার ডেলে আলি। ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল তাঁর বাড়িতে। ডেলে ও তাঁর ভাই হিকফোর্ডকে ছুরির ডগায় রেখে টাকা-পয়সা ও অন্যান্য দামি দামি জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়েছিল ডাকাতের দল। ওই ঘটনায় টটেনহ্যামের মিডফিল্ডার সামান্য আঘাত পেয়েছিলেন। তবে বড় অঘটনের হাত থেকে রক্ষা পায় তাঁর পরিবার। লকডাউনের জেরে বিশ্বের বহু দেশেই অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে।