নিজস্ব প্রতিনিধি - ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্যাপ্টেন ড্যারেন স্যামি কিছুদিন আগে আইপিএলে বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগ তুলেছিলেন। তাঁর দাবি ছিল আইপিএলের দল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হয়ে খেলার সময় সতীর্থদের মধ্যে কেউ তাঁকে কালু বলে ডাকতেন। তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার। আর তাই তাঁর গায়ের রং-এর জন্যই যে হায়দ্রাবাদের সতীর্থরা তাঁকে এই নামে ডাকতেন তা আর বলে দিতে হয় না। আমেরিকায় পুলিশি হেফাজতে থাকার সময় কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর কৃষ্ণাঙ্গদের ওপর অকারণ বঞ্চনার প্রতিবাদ চলছে সারা বিশ্বজুড়ে। স্যামি তাই নিজের কথা তুলে ধরেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তিনি বলেছিলেন, তখন বুঝতে পারেননি কেন সতীর্থরা তাঁকে কালু নামে ডাকতেন। পরে কালু শব্দের মানে জানার পর তাঁর রাগ হয়েছিল। বর্ণভেদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন তিনি। তবে খুব বেশি দিন নিজের বয়ানের উপর স্থির থাকতে পারলেন না স্যামি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আগের দাবির ৭২ ঘন্টার মধ্যেই বয়ান বদল করলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্যাপ্টেন। এবার তিনি বললেন, হায়দ্রাবাদের সেই সতীর্থ তাঁকে ভালোবেসে কালু বলতেন


টুইটারে তিনি লিখেছেন, ''হায়দ্রাবাদে আমার ওই সতীর্থ এই গোটা ঘটনার পর আমাকে ফোন করেছিল। ও আমাকে বুঝিয়ে বলেছে আদতে ভালোবেসে আমাকে কালু বলে ডাকত। ও ইচ্ছাকৃতভাবে বর্ণভেদ করতে চায়নি। আমারই হয়তো কোথাও বুঝতে ভুল হয়েছিল। তাই ক্ষমা চাওয়ার আর কোনও প্রয়োজন নেই। তবে বর্ণবিদ্বেষের শিকার হলে যে কারও প্রতিবাদ করা উচিত। এই নিয়ে কোনওরকম ভুল বোঝাবুঝি হলেও মিটিয়ে নেওয়া উচিত।'' প্রসঙ্গত অভিনেত্রী স্বরা ভাস্কর শামির পক্ষ নিয়ে বলেছিলেন, হায়দ্রাবাদে ক্রিকেটারদের ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্যাপ্টেন এর কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। শামির অভিযোগের পর এই নিয়ে জল ঘোলা হয়েছে প্রচুর।


আরও পড়ুন- হাঁটু মুড়ে বর্ণবৈষম্যে বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাবেন ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটাররা!



হায়দ্রাবাদের কোন ক্রিকেটার তাকে কালু বলে ডাকতেন? জানা গিয়েছে ২০১৩-১৪ মরশুমে ড্যারেনকে ওই সতীর্থ কালু বলতেন। ওই সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক এর সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন ভারতীয় পেসার ইশান্ত শর্মা। সেই ছবিতে তিনি কালু বলে উল্লেখ করেছিলেন। ফলে অনেকেই মনে করছেন ইশান্ত কালু বলে ডাকতেন ড্যারেনকে। এর আগের পোস্টে আমি স্যামিম ওই সতীর্থের সঙ্গে যোগাযোগ না করেই বলেছিলেন, তাঁকে কালু বলে ডাকার জন্য হায়দ্রাবাদের ওই ক্রিকেটারের অনুশোচনা হওয়া উচিত এবং তাঁর কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। কিন্তু এবার নিজেই বলছেন ওই ক্রিকেটারের ক্ষমা চাওয়ার আর কোনও প্রয়োজন নেই।