নিজস্ব প্রতিবেদন- দশ গোল খেলেন তিনি। সেটা অবশ্য ফুটবলে নতুন কোনও ব্যাপার নয়। কিন্তু দশ গোল খেয়েও সেই গোলকিপার ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার পেলেন। এটা অবশ্যই ফুটবলে বিরল ঘটনা। রাশিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ঘটেছে এমন আজব কাণ্ড। পরাজিত দলের গোলকিপার ১০ গোল হজম করেও ম্যাচ সেরার পুরস্কার হাতে বাড়ি ফিরলেন। গত বুধবার রাশিয়ান প্রিমিয়ার লিগের দল রোস্তভের ছয় ফুটবলারের দেহে করোনাভাইরাস উপস্থিতি ধরা পড়ে। তাই বাধ্যতামূলকভাবে ওই ছয় ফুটবলারকে কোয়ারেন্টিনে যেতে হয়। মূল দলের ছজন ফুটবলার না থাকায় সমস্যায় পড়ে রোস্তভ। দুদিন পর সোচির বিরুদ্ধে ম্যাচ। আর সেই ম্যাচ স্থগিত রাখার অনুরোধ করেন রোস্তভের সভাপতি আরতাশে আরুতাইয়ুনায়ান্তস। কিন্তু সোচি ক্লাব কর্তৃপক্ষ তাঁর অনুরোধ রাখেনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সোচির বিরুদ্ধে নিজেদের অ্যাকাডেমির তরুণ ফুটবলারদের মাঠে নামায় রোস্তভ। একেবারে নতুন দল। রোস্তভের প্রতিটি ফুটবলারের অভিষেক হয় প্রিমিয়ার লিগের এই ম্যাচে। তবে সোচির অভিজ্ঞ ফুটবলারদের সামনে দাঁড়াতে পারেনি অ্যাকাডেমির ফুটবলাররা। শেষমেশ ম্যাচটা রোস্তভ হারে ১০-১ ব্যবধানে। রোস্তভের গোলকিপার ডেনিশ পোপভ যেন চোখে সরষে ফুল দেখছিলেন। ১০টি গোল হজম করলেন তিনি। যার মধ্যে ছিল একটি পেনাল্টি। ১৭ বছর বয়সী এই গোলকিপার অবশ্য অনেকগুলো সেভ দেন। না হলে আরও বড় ব্যবধানে হারত রোস্তভ। রোস্তভের গোল লক্ষ্য করে মোট ৪১টি শট নিয়েছিল সোচির ফুটবলাররা।


আরও পড়ুন- করোনায় আক্রান্ত বাংলাদেশের প্রাক্তন ক্রিকেটার, ওপার বাংলায় দুশ্চিন্তার মেঘ


১০টি গোল খেলেও গোটা ম্যাচে যেন ঝড় সামলেছেন ডেনিশ পোপভ। আর তাই তাঁকেই ম্যাচের সেরা বেছে নেওয়া হয়েছে। দল বড় ব্যবধানে হারলেও তরুণদের পারফরম্যান্সে খুশি রোস্তভের সভাপতি। রোস্তভের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলতে নামার আগে রাশিয়ান প্রিমিয়র লিগে অবনমনের আওতায় ছিল সোচি। ১৬ দলের লিগে সোচি ছিল ১২ নম্বরে। তবে এদিনের বড় জয়ে তারা লিগ টেবিলের নয় নম্বরে উঠে এসেছে।