নিজস্ব প্রতিবেদন- টার্গেট ১৫৭। টি-২০ ক্রিকেটে এখন বড় কোনও স্কোর নয়। তবে এই মধ্যবিত্ত রান নিয়েও বাজিমাত করল দিল্লি। পাঞ্জাবকে আইপিএলের দ্বিতীয় ম্যাচে দিল্লি হারাল সুপার ওভারে। উইকেট ব্যাটসম্যানদের সুবিধে করে দেওয়ার মতো ছিল না। পাঞ্জাব অধিনায়ক লোকেশ রাহুল তাই টস জিতে বোলিং নেন। দিল্লির অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ারও জানিয়েছিলেন, টসে জিতলে তাঁর সিদ্ধান্তও একই হত। ফলে রাহুলকে ভুল বলা যাবে না। রাহুলকে একেবারে সঠিক প্রমাণ করে দেন বাংলার পেসার মহম্মদ শামি। চার ওভারে ১৫ রান দিয়ে তিনটি উইকেট নিয়ে দিল্লির দৌড়ের গতি থামিয়ে দেন তিনিই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রথম ওভার থেকেই শামি যেন অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠলেন। আসলে উইকেটে ঘাস থাকায় পাঞ্জাবের পেসারদের মুখে চওড়া হাসি দেখা দিল। দিল্লির দুই ওপেনার পৃথ্বী শ ও শিখর ধাওয়ান শুরু থেকেই টাল সামলাতে পারছিলেন না। শেষমেশ খাতা খোলার আগেই রান আউট হন শিখর। এরপর পৃথ্বী শ ও হেটমায়ারকে যতাক্রমে ৫ ও ৭ রানে প্যাভিলিয়ন-এর রাস্তা দেখান সেই শামি। দিল্লি তখন রীতিমতো চাপে। বড় রান যে উঠবে না, তখন থেকেই পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছিল। এর পর ক্যাপ্টেন শ্রেয়স ও ঋষভ পন্থের ৭৩ রানের পার্টনারশিপ দিল্লির ইনিংসে গতি আনে। পন্থকে ৩১ রানে ফিরিয়ে আইপিএলের নিজের প্রথম উইকেট পান রবি বিষ্ণোই। শ্রেয়সকে তুলে নেন শামি।


মার্কাস স্টোয়নিস শেষ দিকে ২১ বলে ৫৩ রান করে দিল্লিকে ১৫৭ রানে পৌঁছে দেন। এর পর পাল্টা ব্যাট করতে নেমে ক্যাপ্টেন রাহুল ১৯ বলে ২১ রান করে মোহিত শর্মাকে উইকেট দিয়ে যান। করুণ নায়ার ও নিকোলাস পুরানকে কম রানে ফিরিয়ে পাঞ্জাবের উপর চাপ সৃষ্টি করেন অশ্বিন। তবে চোটের জন্য অবশ্য তাঁকে মাঠ ছাড়তে হয়। শেষ ওভারের প্রথম বলে স্টোয়নিসকে ছক্কা মারেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল। পাঞ্জাব ম্যাচটা জিতছে বলে ধরে নিয়েছিলেন অনেকেই। ঠিক সেই সময় কামব্যাক করেন স্টোয়নিস। শেষ বলে জর্ডন জর্ডন আউট হলে ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। ৬০ বলে ৮৯ রানের ইনি্ংস খেলেন মায়াঙ্ক।