নিজস্ব প্রতিনিধি : সাত নম্বর ফাইনাল। এগারোটা আইপিএল সংস্করণের মধ্যে সাতবার ফাইনাল খেলে ফেলেছে চেন্নাই। তাই ফাইনালের আগে তো দলটার চেহারা অন্যরকম হওয়ার কথা। কিন্তু না। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ফাইনাল খেলতে নামার আগে টিমের প্রতিটা সদস্য আবেগতাড়িত। বিশেষ করে মহেন্দ্র সিং ধোনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মাঝে দু'বছরের অনুপস্থিতি। তার পর কামব্যাক। ফিরেই আবার আইপিএল ফাইনাল। চেন্নাইয়ের যাত্রাপথের গল্পটা রূপকথার কাহিনির মতো অনেকটা। কিন্তু এমন সুসময়ে ধোনি কেন আবেগতাড়িত? চেন্নাই ক্যাপ্টেন বলছিলেন, ''আমরা টুর্নামেন্টে নামার আগে থেকে আবেগতাড়িত ছিলাম। তবে টুর্নামেন্ট শুরুর পর পেশাদার মনোভাব কাজ করেছিল। জানতাম, ট্রফি জিততে হলে আবেগতাড়িত হওয়ার থেকে পেশাদার হওয়াটা বেশি জরুরি। ফাইনালের আগে আমরা সবাই আবার আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছিলাম। কারণ, মাঝে আমরা দু'বছর খেলিনি। সেই দু'বছর চেন্নাই সমর্থকরা তাদের প্রিয় দলকে সমর্থন করতে পারেনি। এবার ওদের আমাদের কাছে অনেক প্রত্যাশা। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত ওদের সব আশা পূরণ করতে পেরেছি বলে মনে হয়। আর মাত্র একটা ম্যাচ। দলের সবাই সমর্থকদের জন্য জিততে চাইছে। আরেকটা কথা, এই দু'বছরে আমাদের সমর্থক সংখ্যা কিন্তু অনেকটা বেড়েছে।'' 


আরও পড়ুন- হতাশ হলেও হাসি মুখেই হার মেনে নিলেন 'বাজিগর'


চলতি আইপিএলে ধোনিরা ঘরের মাঠে মাত্র একটা ম্যাচ খেলেছেন। এই ব্যাপারটা নিয়ে হতাশার সুর শোনা গেল এমএসডির মুখে। বলছিলেন, ''সমর্থকদের কাছে এটা দুর্ভাগ্যজনক। তবে অন্তত একটা ম্যাচ আমরা ঘরের মাঠে খেলতে পেরেছি। এটাই স্বান্তনার। দু'বছর ধরে সমর্থকরা আমাদের ম্যাচ দেখবে বলে অপেক্ষা করেছিল। ওদের কাছে আমাদের ফাইনাল ম্যাচ দেখা কতটা আবেগের সেটা আন্দাজ করা যায়।''


আরও পড়ুন- ম্যাচ ফিক্সড! চাঞ্চল্যকর তথ্যচিত্রে ফের উঠে এল ক্রিকেটের কালো দিক


সাত। নম্বরটা ধোনির জন্য কতটা পয়া তা আর বলে দেওয়ার অপেক্ষা রাখে না। এমএসডি সমর্থকরা ফাইনালের আগে এই তথ্য কিন্তু তুলে ধরছেন। আরও একটা কথা অবশ্য তাঁরা বলছেন। ফাইনাল ওয়াংখেড়েতে। সেই ওয়াংখেড়ে যেখানে ধোনির ছক্কা মেরে বিশ্বকাপ জয়ের ছবি এখনও ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে টাটকা।