নিজস্ব প্রতিবেদন: কবীর খানের কথা মনে আছে? ‘চক দে ইন্ডিয়া’-র সেই কবীর খান। মনে পরছে তাঁর সেই সংলাপ? হকি বিশ্বকাপে ভারত-অস্ট্রেলিয়া ফাইনাল ম্যাচের আগে মেয়েদের উজ্জীবিত করতে কোচ কবীরের সেই ম্যাজিকাল ভোকাল টনিক, ‘ইয়ে সত্তর মিনিট…’। অনেকেই বলেন সিনেমায় যা ঘটে তা নাকি বাস্তবে হয় না। আবার অনেকে এটাও বলেন, বাস্তবে যা ঘটে তাই ঠাঁই পায় সিনেমার পর্দায়। অবিশ্বাস্য রকম মনে হলেও এটাই সত্যি, সিনেমায় যা হয়েছিল বাস্তবেও হল তাই। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- ৭ লাখ টাকার মিল খেয়ে ট্রোলড আকাশ চোপড়া!


গত রবিবারের রাশিয়া। মস্কোর লুঝনিকি তখন কানায় কানায় ভর্তি। একদিকে লাল-সাদা বিপ্লব আর অন্যদিকে নীল স্রোত। প্রথমার্ধে ২-১-এ এগিয়ে ফ্রান্স। তবে মাঠে তখনও ছড়ি ঘোরাচ্ছে ক্রোয়েশিয়া। মাঝ মাঠ দাপাচ্ছেন লুকা মাদ্রিচ। আত্মঘাতী গোল করার পর মরণ কামড় দিতে শুরু করেছেন মানজুকিচ। ফ্রান্স কোচ দেশঁ বুঝতে পেরেছিলেন ইতিহাস লিখতে হলে জানপ্রাণ লড়িয়ে দিতে হবে। তা না হলে এই আক্রমনাত্মক ক্রোটরা ‘সুনামি’ও এনে দিতে পারে। 


অগত্যা, দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরুর আগে লে ব্লুসদের চাঙ্গা করতে ড্রেসিং রুমে হাজির দেশঁ। তারপর কয়েকটা মিনিট, আর কয়েকটা কথা। ব্যস, বাকিটা এখন ইতিহাস। 


১৯৯৮ বিশ্বকাপ জয়ী দেশঁ এবারের বিশ্বকাপার ফ্রান্স দলকে কী বলেছিলেন?


তোমরা কি দেখছ? ওরা সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাচ্ছে, নিজেদের শরীরকে ব্যবহার করছে। ও (মানজুকিচ) মুখোমুখি দাঁড়িয়ে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে, লক্ষ্য থেকে অনেক দূরে চলে যাচ্ছে। ও আমাদেরকে আঘাত করবে না। ওকে সামনে দেখে বিব্রত হয়ো না, আমরা ওকে নিয়ন্ত্রণ করছি। সতর্ক থাকো, যেকোনও সময় ও নিজের মাথা ব্যবহার করে বলের দখল নিতে পারে। মাঠে স্থির হয়ে থেকে না, সারাক্ষণ চলতে থাকো। তোমরা দেখছ, ওরা কতটা শক্তি-সমর্থ দিয়ে খেলছে। যতটা স্বাভাবিক ছন্দে থাকা যায়, সেটাই চেষ্টা কর। বল পেলেই কিলিয়ানকে (এমবাপে) বাড়িয়ে দাও। ৪৫ মিনিট! তোমরা জানো এরপর কী হতে চলেছে। মাথা উঁচু করে খেল। হাল ছেড়ো না। আমরা আরও ভাল করতে পারি। বল পেলেই এগিয়ে দাও ফরোয়ার্ডকে। 


আরও পড়ুন- শূন্য দিয়ে শুরু করল তেন্ডুলকর


ফ্রান্সের বিশ্বজয়ের ১০০ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সামনে এল চ্যাম্পিয়ন দলের এই রোমহর্ষক ভিডিও। দেখুন-