নিজস্ব প্রতিনিধি- করোনার প্রকোপ, লকডাউনের জেরে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল ক্রিকেট। প্রায় চার মাস বাদে ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট সিরিজের মাধ্যমে আবার ক্রিকেট শুরু হয়েছে। আর এই সিরিজে ক্রিকেটারদের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছিল বায়ো-বাবল বা জৈব-সুরক্ষা বলয়ের। সেই বায়ো-বাবল সুরক্ষার প্রোটোকল ভেঙে জরিমানা হয়েছে ইংল্যান্ডের পেসার জোফ্রা আর্চারের। সামনেই আইপিএল। সেখানেও ক্রিকেটারদের জন্য বায়ো-বাবল-এর ব্যবস্থা থাকছে। করোনার আবহে ক্রিকেটারদের সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত আইসিসি ও ক্রিকেট সংস্থাগুলি। ২ অগাস্ট আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের মিটিং। সেখানে ক্রিকেটারদের সুরক্ষার বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হবে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ক্রিকেটারদের করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে তৈরি হয়েছে বায়ো-বাবল। কী সেটা জানেন? করোনার এই আবহে বাস্কেটবল খেলা আয়োজন করতে গিয়েই প্লেয়ারদের সুরক্ষার জন্য প্রথম জৈব সুরক্ষা বলয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। নাম বায়ো-বাবল। তবে এ সঙ্গে বাবল অর্থাত্ বুদবুদ বা বেলুন জাতীয় কিছুর কোনো সম্পর্ক নেই। এটি আসলে একটি সুরক্ষিত পরিবেশ। স্যানিটাইজ করা সেই পরিবেশ থেকে ক্রিকেটাররা বেরোতে পারবেন না। আবার বাইরের কেউ ক্রিকেটারদের সেই সুরক্ষিত বলয়ে ঢুকতে পারবেন না। মূলত ক্রিকেটারদের আইসোলেটেড রাখতেই এমন ব্যবস্থা করা হয়েছে।


আরও পড়ুন-  ''আমি হিন্দু তাই যত আইন আমার জন্য, তাই তো?'' পিসিবিকে ফের খোঁচা কানেরিয়ার


ইংল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ চলার সময়ও দুই দলের ক্রিকেটারদের হোটেলের বাইরে এই পরিবেশ ছেড়ে কোথাও যেতে দেওয়া হয়নি। দুটি দলের সিরিজ আয়োজন করতে গিয়ে জৈব বলয় তৈরিতে ইসিবি-র কোনও সমস্যা হয়নি। সাউদাম্পটনের পাশেই এজিয়াস বাউল হোটেল। আবার অন্যদিকে ম্যাঞ্চেস্টারে ওল্ড ট্র্যাফোর্ড ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পাশেই হিল্টন হোটেলস। তবে দুবাইতে আইপিএলের জন্য উপস্থিত হবে মোট ১২০০ জন। এতগুলো দল। এত ক্রিকেটার। দুবাইতে সবার জন্য বায়ো-বাবল-এর ব্যবস্থা করা যাবে কি না সন্দেহ থাকছে। বায়ো-বাবল-এ থাকাকালীন একজন ক্রিকেটার পরিবার, বন্ধু কারও সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না। আর এই পরিবেশে প্রবেশের আগে বাধ্যতামূলকভাবে কোয়ারেন্টাইন থাকতে হবে। বায়ো-বাবল ব্যবস্থা থাকছে মানে ম্যাচ আয়োজন করতে হবে দর্শকশূ্ন্য স্টেডিয়ামে।