নিজস্ব প্রতিবেদন- মাঠে হোক বা মাঠের বাইরে, কখনো তাঁর ভাবমূর্তি নিয়ে কোনো প্রশ্ন ওঠেনি। বরাবর নিজের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি বজায় রেখেছেন সচিন তেন্ডুলকর। ভারতে তো বটেই বিশ্ব ক্রিকেটেও তিনি তাই সম্মানিত। ক্রিকেট ঈশ্বর তাঁকে শুধুমাত্র তাঁর রান সংখ্যার জন্য বলা হয় না। তিনি যেমন বড় ক্রিকেটার, তেমনই স্বচ্ছ ভাবমূর্তির একজন মানুষ। সেই তাঁর নাম ভাঁড়িয়েই কি না কোচ নিয়োগ! মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনে (এমসিএ ক্রিকেট ইম্প্রুভমেন্ট কমিটির (সিআইসি) চেয়ারম্যান লালচাঁদ রাজপুত অভিযোগ করেছেন এমনই।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এমসিএ-র শীর্ষস্থানীয় কাউন্সিল-এর কর্তাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন লালচাঁদ রাজপুত। মুম্বাই ক্রিকেটের নানা পর্যায়ের বয়সভিত্তিক রাজ্য দলগুলিতে কোচ, নির্বাচক, ট্রেনার, ফিজিও নিয়োগ চলছে। আর সেখানেই এমসিএ কাউন্সিল-এর সদস্যরা সচিনের নাম ব্যবহার করে কোচ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় প্রভাব খাটাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন লালচাঁদ রাজপুত। ইতিমধ্যে এমসিএ সভাপতি বিজয় পাতিলকে মেইল করে বিষয়টি জানিয়েছেন তিনি। লালচাঁদ ইতিমধ্যে বিষয়টি সংবাদমাধ্যমের সামনেও তুলে ধরেছেন। সংক্ষিপ্ত তালিকায় মোট ২৪ প্রার্থীকে বিবেচনা করা হয়েছিল কোচ হিসাবে সাক্ষাৎকারের জন্য। সচিনের নাম ভাঁড়িয়ে তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ।


আরও পড়ুন-  যেন পাড়ার ক্রিকেট! তারকা ক্রিকেটারকে বল কুড়িয়ে আনতে হচ্ছে পার্কিং জোন থেকে


মেইলে লালচাঁদ লিখেছেন, ''সচিনের নাম ভাঁড়িয়ে এক্স, ওয়াই, জেড-কে নির্বাচনের সুপারিশ করা হচ্ছে। আমরা জানি, সচিনের কোনও পরামর্শ থাকলে সেটি সে সরাসরি এমসিএ সভাপতিকে জানাবেন। সচিন আইকন। আমরা সবাই তাঁকে সম্মান করি।'' মুম্বইয়ের মহিলা ও পুরুষ ক্রিকেটের বয়সভিত্তিক দলের কোচ খোঁজার প্রক্রিয়া চলছে। শীর্ষস্থানীয় কাউন্সিল সদস্য অমিত দানির এক চিঠিতে এমসিএ-কে বলেছিলেন, ''এমসিএর সঙ্গে সিআইসিরও নির্বাচিত ব্যক্তিদের যোগ্যতা যাচাই করা উচিত। ভুল বোঝাবুঝি অবসানের জন্য সিআইসির পরবর্তী সব বৈঠকে আহবায়কদের থাকা উচিত।'' এর পরই লালচাঁদ বলেন, ''নামগুলো জানতে চাইলে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। কিন্তু প্রকাশ্যে বলব না। মুম্বই ক্রিকেট কেন নিচের দিকে নামছে তা এখন ভালই বুঝতে পারছি। শীর্ষস্থানীয় কাউন্সিল সদস্য হিসেবে প্রভাব খাটিয়ে অনেকে অনেকরকম কাজ করাচ্ছেন। আমরা (সিআইসি) কিন্তু সেটা হতে দেব না।''