নিজস্ব প্রতিবেদন: কোথায় বোড়ে চালতে হবে, আর কোথায়ই বা চালতে হবে আড়াই চালের ঘোড়াকে, কিংবা কোন চালেই বা করতে হবে কিস্তিমাত, এসব তাঁর বাঁয়ে হাত কা খেল। চৌষট্টি খোপের খেলায় তাঁর অন্তত চৌষট্টি হাজার পথ জানা। আর সেজন্যই তো তিনি গ্র্যান্ড মাস্টার। বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দাবাড়ুদের মধ্যে অন্যতম একজন। ভারতের সর্বকালের সেরা দাবাড়ুদের মধ্যেও তিনি সেরার সেরা। তাঁকে হাতের কাছে পাওয়া তো মুখের কথা নয়। আর শহর কলকাতা যখন তাঁকে পেয়েই গিয়েছে আর সুযোগ হাতছাড়া করা নয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনস-এ আয়োজিত একটি সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে গ্র্যান্ডমাস্টার বিশ্বনাথন আনন্দকে পেয়ে একাধিক প্রশ্ন রাখলেন রাজ্যের শতাধিক দাবাড়ু। সন্তানের মানসিক বিকাশের জন্য কী করা উচিত, এই প্রশ্ন রাখলেন তাঁদের অভিভাবকরা। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দাবাড়ু সকলের উদ্দেশে একটাই কথা বলেন, শিশুর স্বাভাবিক ও সহজাত বিকাশকেই অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। শিশুমনে অত্যধিক চাপ পড়লে তা হিতে বিপরীত হতে পারে।


আরও পড়ুন- Exclusive: কার্লসেন নয়, আনন্দকে হারানোই চ্যালেঞ্জ সের্গেই কারিয়াকিনের


দাবার চালে ছেলে দুর্দান্ত। কিন্তু পড়াশুনার বেলায় লবডঙ্কা। কী করা উচিত? আইসিসিআর-এ আয়োজিত অনুষ্ঠানে এক অভিভাবকের এই প্রশ্নের উত্তরে বিশ্বনাথন আনন্দ বলেন, “খেললে উন্নতি হবে। সন্তানকে একেবারেই চাপ দেবেন না। যা করতে চায়, সেটাই করতে দিন”।



এছাড়াও, দাবার জন্য কী পড়াশুনা করা উচিত এবং কীভাবে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত সেই বিষয়ে খুদে দাবাড়ুদের টিপসও দেন বিশ্বনাথন আনন্দ। উল্লেখ্য, টাটা আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সমস্ত দাবাড়ুকেই সম্বর্ধিত করে বেঙ্গল চেস অ্যাসোসিয়েশন। সম্বর্ধনা দেওয়া হয় বাঙালি দাবাড়ু সূর্যশেখর গঙ্গোপাধ্যায়কেও।