Ajinkya Rahane, Duleep Trophy Final : অভব্য আচরণ, সতীর্থকে মাঠ থেকে বের করে দিলেন রাহানে! ভিডিয়ো ভাইরাল
Ajinkya Rahane, Duleep Trophy Final : খেলার ৫৭তম ওভারে ফের যশস্বী একই কান্ড ঘটান। এবং আম্পায়ররা রীতিমতো বিরক্ত হন এবং রাহানেকে ডাকেন।
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: যত বড়ই খেলোয়াড় হোন, স্পোর্টসম্যান স্পিরিট (Spirit Of The Game) বজায় রেখেই মাঠে খেলতে হবে। নিজের দলের যশস্বী জয়সওয়ালকে (Yashasvi Jaiswal) মাঠ থেকে বের করে সেটা বুঝিয়ে দিলেন অজিঙ্কা রাহানে (Ajinkya Rahane)। দলীপ ট্রফির ফাইনালের (Duleep Trophy Final 2022) পঞ্চম দিন দক্ষিণাঞ্চলের (South Zone) রবি তেজার (Ravi Teja) সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে যান পশ্চিমাঞ্চলের (West Zone) ওপেনার যশস্বী। ব্যাপারটা খুব দৃষ্টিকটু জায়গায় চলে যেতেই দ্বিশতরান করা ওপেনারকে মাঠ ছাড়তে বাধ্য করেন রাহানে। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে সেই মুহূর্ত ভাইরাল হতে সময় লাগেনি।
মাঠে কী ঘটেছিল?
দক্ষিণাঞ্চলের ব্যাটার রবি তেজার সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পর যশস্বীকে প্রথমে আম্পায়ার সতর্ক করেন। পশ্চিমাঞ্চলের অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানেকেও বিষয়টি সামলাতে এগিয়ে আসতে হয়। এবং যশস্বীকে তিনি শান্ত হতে এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বলেছিলেন। রবি তেজার সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সামলানোর চেষ্টা করেছিলেন রাহানে। এবং সাময়িক ভাবে মনে হয়েছিল, বিষয়টির সমাধান হয়ে গিয়েছে।
তবে ৫৭তম ওভারে ফের যশস্বী একই কান্ড ঘটান। এবং আম্পায়ররা রীতিমতো বিরক্ত হন এবং রাহানেকে ডাকেন। এর পরে রাহানে দ্বিতীয় স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা জয়সওয়ালকে শৃঙ্খলা ভঙ্গ করার কারণে মাঠ ছেড়ে বের হয়ে যেতে বলেন। বদলি ফিল্ডার হিসেবে আনা হয়েছিল সত্যজিৎ বাচ্চাকে। তাঁকে মাঠ থেকে বের করে দেওয়া হয়।
ম্যাচের পরে রাহানে বলেছিলেন, 'যাই হোক না কেন আপনাকে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়, আম্পায়ার এবং কর্মকর্তাদের সম্মান করতে হবে। এ ভাবেই ক্রিকেট খেলতে হয়। কিছু পরিস্থিতিতে একটি নির্দিষ্ট ধরনের ট্রিটমেন্ট প্রয়োজন। সেই পরিস্থিতিকে সেই পদ্ধতিতে মোকাবেলা করতে হয়েছিল, আমি মনে করি এটি সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল।'
আরও পড়ুন: Cristiano Ronaldo: নাক ফেটে মাঠে রক্তাক্ত হলেও পর্তুগালের জয়ের নায়ক সি আর সেভেন
আরও পড়ুন: Jhulan Goswami: বিদায়বেলায় দাদা-দিদির শুভেচ্ছা পেলেন ঝুলন, উপচে পড়ছে সোশ্যাল মিডিয়া
অবশ্য সেই ঘটনার আট ওভার পরে যশস্বীকে মাঠে ফিরিয়ে আনা হয়। নিজের কাজে লজ্জিত যশস্বী। ম্যাচের শেষে তরুণ ওপেনার বলেন, 'আজ্জু ভাই যাই বলুক না কেন, আমি তা গুরুত্ব সহকারে সেটা মেনে নিই এবং সেটি অনুসরণ করার চেষ্টা করি।'
এ বারের দলীপ ট্রফির ফাইনালে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩২৩ বলে ২৬৫ রান করেছিলেন। মেরেছিলেন ৩০টি চার ও ৪টি ছক্কা। এবং যৌথ ভাবে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ভারতীয় হিসেবে দ্রুততম হাজার রান পূরণ করেন। ফলে ফাইনালে ম্যাচের সেরাও হয়েছেন তিনি। তবে দুরন্ত ব্যাট করে নিজেরে দল ও বিপক্ষের কাছ থেকে সমীহ আদায় করলেও,
ক্রিকেটের নিয়মকে ভেঙেছেন। তাই তাঁকে শাস্তি পেতেই হল।