জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বাংলাদেশে হিন্দুদের প্রতি নির্মন নির্যাতন চলছে! প্রতিবাদে গর্জে উঠল ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাব (East Bengal FC)। সোমবার বিকেলে লেসল ক্লডিয়াস সরণির শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব সাংবাদিক বৈঠক করল। ক্লাবের ফুটবল সচিব সৈকত গঙ্গোপাধ্যায় এবং শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার এই ইস্যুতে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তাঁরা জানিয়েছেন যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসকে তাঁরা চিঠি পাঠাবেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন ইস্টবেঙ্গল প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, 'আপনারা সকলেই জানেন যে, ইস্টবেঙ্গল ক্লাব একটি প্রতিবাদ থেকে জন্ম নিয়েছিল। "Racism" শব্দটি জনপ্রিয় হওয়ার এবং ফিফা চার্টারে স্থান পাওয়ার অনেক আগেই, ইস্টবেঙ্গল ক্লাব রেসিসিজমের বিরুদ্ধে লড়াই করে ক্লাবের প্রতিস্থাপন করেছিল। সেই থেকে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব সর্বদাই জাতিগত ও সাম্প্রদায়িক নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই করে। ১৯৪৩ সালের বাংলার দুর্ভিক্ষ থেকে আয়লা এবং অতি সম্প্রতি কোভিড মহামারীর ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের পাশে দাঁড়ানো, অনেক জনআন্দোলনের অগ্রভাগে ছিল ইস্টবেঙ্গল। এমনকী দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব এবং তার বহু সদস্যের সক্রিয় ভূমিকা কারোর অজানা নয়।' 


আরও পড়ুন: বদলের বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হতে চলেছে 'জয় বাংলা' স্লোগান!


ক্লাবের ইতিহাস মনে করিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি, মশালবাহিনী সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে আলোকপাত করে লিখেছে, 'বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের পরিকল্পিত ভাবে আক্রমণ করা হয়েছে, যা আমাদের ক্লাবের সমর্থকদের খুব গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। আমাদের সমর্থকদের অধিকাংশেরই পূর্বপুরুষের শিকড় পূর্ববঙ্গ তথা বাংলাদেশে। আমাদের অনেক সমর্থকের পরিবার, আত্মীয়স্বজন দেশভাগের আগে এবং পরবর্তী সময়ে এবং ছয়ের দশকের শেষের দিকে এবং সাতের দশকের প্রথম দিকে এই ধরনের আক্রমণের শিকার হয়েছেন। আমরা তাঁদের থেকে প্রচুর ফোন এবং মেইল পাচ্ছি, যেখানে তাঁরা আমাদেরকে এই বিষয়টি যথাযথ জায়গায় উত্থাপন করার অনুরোধ জানিয়েছেন। এমনকী আমাদের সমর্থকরা, যাঁরা পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতের অন্যান্য অঞ্চল থেকে এসেছেন তাঁরাও বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের উপর এই ধরনের ব্যাপক নিপীড়ন বন্ধ হওয়া দরকার। আমরা সকল কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করতে চাই যে, তাঁরা যেন দয়া করে এই সমস্যাটিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে সীমান্তের ওপারে আমাদের মা, বোন ও ভাইদের বাঁচাতে এবং শান্তি স্থাপন করতে দিশা দেখান।' সংখ্যালঘু নেতা, সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারিকে কেন্দ্র করে উত্তাল বাংলাদেশের একাংশ। সেই আঁচ এসে পড়েছে ভারতেও...


আরও পড়ুন: চিন্ময়কৃষ্ণ ব্রহ্মচারী গ্রেফতারির পর এবার বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হচ্ছে ইস্কন! এল বড় আপডেট


 


 



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)