East Bengal: হাল ফিরল না লাল-হলুদের, টানা ৪ ম্যাচ হারল লিগের `লাস্ট বয়`!
East Bengal: ম্যাচের শুরু থেকে শেষ অবধি দাপট বজায় রাখল জামশেদপুর। ২১ মিনিটের মাথায় গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ে লাল-হলুদ। জামশেদপুরের হয়ে গোল করেন রেই তাচিকাওয়া। জাপানের ফুটবলারের সেই শট আটকানোর কোনও সুযোগ দেবজিতের কাছে ছিল না।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পর পর তিনটে ম্যাচ হারার পর, হারের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে কোচের পদ থেকে সরে, দাঁড়ান কার্লেস কুয়াদ্রাত। বিনো জর্জের তত্বাবধানে জামশেদপুরের বিরুদ্ধে খেলতে নামে লাল-হলুদের দল। বিন জর্জ জানিয়েছিলেন, জামশেদপুর হল ইস্টবেঙ্গলের ঘরের মাঠ। তাই যে কোনও ভাবে এখান থেকে তিন পয়েন্ট আদায় করবেন তাঁরা। কিন্তু ফলাফল শুন্য। কোনওভাবেই পরিস্থিতি বদলাল না কলকাতার এই প্রধানের। ২-০ গোলে হারল ইস্টবেঙ্গল এফসি। গত তিন ম্যাচে যা ছিল, জামশেদপুরের বিরুদ্ধেও সেই জঘন্য ফুটবল প্রদর্শন করে এবারের আইএসএল টুর্নামেন্টে তারা টানা চার ম্যাচে পরাস্ত হল সৌভিকরা।
আরও পড়ুন, Irani Cup 2024: ২৭ বছরের উপোসি মুম্বইয়ের ১৫ নম্বর ইরানি, ঘরোয়া ক্রিকেটে চলে এল ৬২ নম্বর ট্রফি!
যতই হুঙ্কার দিন বিনো, দলের খেলোয়াড়রা যে ফিট নয় তা পুরো খেলার ধরন দেখে বোঝা গেল। একে জঘন্য ডিফেন্স, তার মধ্যে পেনাল্টি মিস এবং আত্মঘাতী গোল। পুরো ম্যাচে জামশেদপুরের সামনে দাঁড়াতেই পারল না ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ অবধি দাপট বজায় রাখল জামশেদপুর। ২১ মিনিটের মাথায় গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ে লাল-হলুদ। জামশেদপুরের হয়ে গোল করেন রেই তাচিকাওয়া। জাপানের ফুটবলারের সেই শট আটকানোর কোনও সুযোগ দেবজিতের কাছে ছিল না। প্রথমার্ধে কোনও ভাবেই আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। ১-০তে পিছিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে লাল-হলুদ দল।
পর পর তিনটি ম্যাচ হারার পর চতুর্থ ম্যাচে বিনো জর্জ এসে কিছুটা হলেও পরিকল্পনায় বদল এনেছিলেন। সমর্থকরাও কিছুটা হলেও আশায় বুক বেঁধেছিলেন। মাদি তালালের পা দিয়ে বার বার আক্রমণে উঠছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে একাধিক গোলের সুযোগ তৈরি করেও ব্যর্থ হয় লাল-হলুদ। ম্যাচের ৬৩ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি পেলেও, সল ক্রেসপো পেনাল্টি নষ্ট করেন। এই বড় সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। পেনাল্টির সুযোগ হাতছাড়া করার পর আক্রমণে ফেরেন লাল-হলুদ খেলোয়াররা। প্রবল গোল করার তাগিদ ছিল তাঁদের মধ্যে। কিন্তু খালিদ জামিলের পরিকল্পনার কাছে কিছুটা হলেও হেরে যান তাঁরা।
একের পর এক সুযোগ নষ্টের সঙ্গে সঙ্গে ৭০ মিনিটের মাথায় আত্মঘাতী গোল করেন ইস্টবেঙ্গলের লালচুংনুঙ্গা। ইমরান খানের শট বার করতে গিয়ে নিজেদের গোলেই ঢুকিয়ে দেন তিনি। আর কোনও ভাবেই ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। শেষ দিকে রক্ষণে ফুটবলার বাড়িয়ে নিয়েছিলেন খালিদ। ফলে গোল করা সহজ ছিল না। শেষ পর্যন্ত ০-২ গোলে হেরেই মাঠ ছাড়ে ইস্টবেঙ্গল। ৬ মিনিট অতিরিক্ত সময়ের পরও একটিও গোলও আদায় করতে পারেনি লাল-হলুদ। তাঁদের পরের ম্যাচই মোহনবাগানের সঙ্গে। আপাতত, পরপর চার ম্যাচ হেরে পয়েন্ট টেবিলের একেবারে শেষে অবস্থান লাল-হলুদের।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)