সুখেন্দু সরকার


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আই লিগে পর পর তিন ম্যাচে হারের পর গোকুলামের বিরুদ্ধে জিতে, ফিরে পাওয়া আত্মবিশ্বাস নিয়েই রবিবারের ডার্বিতে নামতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল। দলের স্প্যানিশ স্ট্রাইকার এনরিকের চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়া বড় ধাক্কা হলে, কোলাডোর দলে যোগ দেওয়া প্লাসপয়েন্ট বলেই বলে মনে করছে লাল-হলুদ শিবির। ৬ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে আই লিগে ৬ নম্বরে ইস্টবেঙ্গল। সমসংখ্যক ম্যাচে সমান পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকায় আট নম্বরে মোহনবাগান। সম্মান রক্ষার ম্যাচে তাই এগিয়ে থেকেই শুরু করতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞ মহলের।


আরও পড়ুন - বড় ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলকেই এগিয়ে রাখছেন 'প্রথম ডার্বি' খেলতে নামা শঙ্করলাল, কোলাডোকে নিয়ে চিন্তা বাগানে!


গত কয়েকদিন ধরেই ক্লোজড ডোর অনুশীলন চলছে ইস্টবেঙ্গলের। শনিবার যুবভারতীর প্র্যাকটিস গ্রাউন্ডেও কালো পর্দার আড়ালেই চলল কাশিম-কোলাডোদের ডার্বি প্রস্তুতি। বাগান বধের ব্লু প্রিন্ট কোনভাবেই প্রকাশ্যে আনতে চান না স্প্যানিশ কোচ আলেসান্দ্রো মেনেজেস গার্সিয়া। বিশ্বের সর্বত্রই এমনটা হয়ে থাকে বলে মত আলেসান্দ্রোর। রবিবারের বড় ম্যাচে সম্ভবত প্রথম একাদশে থাকছেন না বিশ্বকাপার জনি অ্যাকোস্টা। গোলে রক্ষিত দাগার। দুই স্টপার বোরহা এবং সালাম রঞ্জন সিং। দুই সাইড ব্যাক মনোজ মহম্মদ এবং চুলোভা। মাঝমাঠে কাশিম আইদারার সঙ্গে ডিকা। দুই উইয়ে ব্রেন্ডন এবং ডানমাইয়া। উইথড্রল ফরোয়ার্ড কোলাডো আর এক স্ট্রাইকার জবি জাস্টিন। এমনভাবেই ডার্বিতে দল জাসাতে পারেন আলেসান্দ্রো। ৪-৪-১-১ ছকেই বাগান বধের অঙ্ক কষছেন ইস্টবেঙ্গল কোচ।


আরও পড়ুন - বড় ম্যাচে বড় ধাক্কা! রবি ডার্বিতে সোনিহীন বাগান  


গোকুলামের বিরুদ্ধে জেতার পর দল ভালো ছন্দে রয়েছে। ডার্বিতে মাঠে নামার আগে আলেসান্দ্রো বলছেন, "এই ম্যাচের গুরুত্ব বুঝতে পারছি। তিন পয়েন্ট চাই। এই ম্যাচ জিততে পারলেই লিগে ভালো জায়গায় পৌঁছে যাব। সমর্থকদের জন্য় এই ম্যাচটা জিততে চাই। মোহনবাগানের আক্রমণ ভাগ বেশ ভালো।" সোনির না থাকা কোনও বাড়তি সুবিধে নয়। ইস্টবেঙ্গলেরও এনরিকে নেই। গোকুলাম ম্যাচেই পাঁজরে চোট পেয়েছিলেন তিনি। দলের আর এক বিদেশি কাশিম আইদারা বলছেন, "মোহনবাগানের অ্যাটাকিং ফোর্স খুব ভালো। তবে আমরাও তৈরি। দল ছন্দে আছে। জেতার জন্যই আমরা ঝাঁপাব।" যুবভারতীতে ২০১৫ সালে সেপ্টেম্বরে কলকাতা লিগের ম্যাচে শেষবার ইস্টবেঙ্গল হারিয়েছিল মোহনবাগানকে। তারপর থেকে আর যুবভারতীতে জিততে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। তাই ছক বদলে মোহনবাগানকে হারাতে মরিয়া ইস্টবেঙ্গল। সেই সঙ্গে শেষ ৩৩ মাসেও মোহনবাগানকে হারাতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। পরিসংখ্যান অন্তত তেমনই বলছে।