জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ইমামি ইস্টবেঙ্গল (Emami East Bengal) রবিবাসরীয় ডার্বি উপহার দিল এটিকে মোহনবাগানকে (ATK Mohun Bagan)। এদিন যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মরসুমের প্রথম বড় ম্যাচ সবুজ-মেরুন শিবির জিতল ১-০ গোলে। সৌজন্যে লাল-হলুদের আত্মঘাতী গোল। প্রথমার্ধের সংযোজিত সময়ে এটিকে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন ইমামি ইস্টবেঙ্গলের সুমিত পাসি (Sumeet Passi)। লিস্টন কোলাসোর কর্নার থেকে ভাসানো বল, মাটিতে পড়ে আচমকাই পাসির বুকে লেগে তে-কাঠিতে ঢুকে যায়! আর এখানেই ম্যাচের পরিণতি লেখা হয়ে যায়। ম্যাচের বাকি সময়ে লড়াই করেও আর গোল ছিনিয়ে আনতে পারেনি কোনও দলই! আর এই নিয়ে টানা হাফ ডজন ডার্বি হারল লেসলি ক্লডিয়াস সরণির শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব। প্রায় আড়াই বছর পর কলকাতায় ডার্বি ফিরল। তবে দুই দলের খেলা সেভাবে মন ভরাতে পারল না।



COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মোহনবাগানের প্রাক্তন 'ঘরের ছেলে' মানস ভট্টাচার্য এই এটিকে মোহনবাগানের খেলা দেখে খুশি। তিনি ম্যাচের পর বলছেন, 'দেখুন মোহনবাগান আজ সর্বতোভাবে টেক্কা দিয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে। মোহনবাগান সংঘবদ্ধ দল। একটা সেট টিম। ওদের বাঁধুনি আছে। সত্যি বলতে দলের একাধিক ফুটবলারের অভিজ্ঞতা আজ কথা বলেছে। ওদিকে দেখতে গেলে স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন তাঁর বিদেশি খেলোয়াড়দের আজ নামিয়ে দেখে নিতে চেয়েছিল। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের বিদেশিরা তিনটি ট্রেনিং সেশনও করতে পারেনি। বিদেশিদের নামিয়ে চাপ তৈরি করা সেটা করতে পারেননি। এটিকে মোহনবাগানের কোচ জুয়ান ফেরান্দোর কৌশল আমার ভাললেগেছে, জায়গা তৈরি করেছে। খুব অল্প সময়ের জন্য হলেও ইস্টবেঙ্গল বিক্ষিপ্ত ভাবে ভাল খেলেছে। এটিকে মোহনবাগানের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ভাল লেগেছে।


ইস্ট-মোহনে খেলা প্রাক্তন ফুটবলার অলোক মুখোপাধ্যায় বলছেন, 'নতুন টিম হিসাবে ইস্টবেঙ্গল ভাল খেলেছে। তবে ওই আত্মঘাতী গোলের ক্ষেত্রে বলব,  এলিয়ান্দ্রোর পা চালানোর কোনও দরকারই ছিল না। লেফট ব্যাকেরও ভুল ছিল। ডাইভিং ক্লিয়ার হেড করে বল বিপদমুক্ত করার কথা ছিল। চার গজের মধ্যে পা দিয়ে ক্লিয়ার করার তো কথাই নয়। তবে আমি বলব দু'টি দলকেই সময় দিতে হবে। ইস্টবেঙ্গলের বিদেশিরা তৈরি নয়। দেখতে গেলে স্টিফেন কিন্তু খুব ভাল ভাবে  জানে যে, তাঁর শক্তি আর দুর্বলতা। অ্যাটাকিং খেললে চার-পাঁচ গোল হয়ে যেতে পারত। সেখানে ইস্টবেঙ্গলের দেশি ফুটবলারদের কিন্তু দারুণ তৈরি করে দিয়েছে স্টিফেন। দেখতে গেলে কোলাসোর মতো প্লেয়ার কিন্তু এদিন এভাবে মুখ তুলতেই পারেনি। তবে এই ইস্টবেঙ্গল আইএসএল-এ ভাল খেলবে। কারণ স্টিফেন ওর বিদেশিদের নিয়ে ট্রেনিংই করতে পারেনি। তবে আমি বলব মোহনবাগান উইলিয়ামস ও রয় কৃষ্ণাকে ছেড়ে ঠিক করেনি।'


এই নিয়ে ৩৮৩টি ডার্বি হল ইস্ট-মোহনের। তার মধ্যে ১২৩টি ম্যাচ জয়ের মুখ দেখল সুবজ-মেরুন। যদি এগিয়ে লাল-হলুদই। ১৩৬টি ম্যাচ জিতেছে তারা। ডুরান্ড কাপের পরিসংখ্যান বলছে, এই নিয়ে ২০টি ডার্বি হল। ইমামি ইস্টবেঙ্গল আটটি ম্যাচে জিতেছে। এটিকে মোহনবাগানের জয়ের সংখ্যা সাত।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)