ওয়েব ডেস্ক: মেসিকে ব্যান করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল আন্তর্জাতিক ফুটবলের সর্বনিয়ামক সংস্থা ফিফা। আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওয়ার্ল্ডকাপ কোয়ালিফায়ারের ৪টি ম্যাচে ফুটবলের যুবরাজ লিওনেল মেসি খেলতে পারবেন না। চিলি ম্যাচে ব্রাজিলিয়ান রেফারি সিলভাকে 'মা তুলে গালাগালি' করেছেন এলএমটেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই মেসির বিরুদ্ধে এই কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিফা। আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থার এই সিদ্ধান্তের কারণে আগামী চার ম্যাচ, যথাক্রমে- বলিভিয়া, উরুগুয়ে, প্যারাগুয়ে এবং ভেনিজুয়েলার বিরুদ্ধে আর্জেন্টিনার দলে কোনও ভাবেই খেলতে পারবেন না লিওনেল মেসি। ১০ অক্টোবর, ইকুয়েডারের বিরুদ্ধে শেষ কোয়ালিফায়ার ম্যাচে আর্জেন্টিনা দলে ফিরতে পারবেন ফুটবলের যুবরাজ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

   


আর ৪ ঘন্টাও বাকি নেই, বলিভিয়ার মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। এরই মধ্যে ফিফার এই সিদ্ধান্তে গভীর চিন্তায় আর্জেন্টিনা শিবির। ফিফার এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা করে আর্জেন্টিনা দল জানিয়েছে, "আমরা ফিফার এই সিদ্ধান্তে হতচকিত। আমাদের রাগের আরও একটা কারণ, খেলা বাকি থাকার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে ফিফা কীভাবে এমন একটা সিদ্ধান্ত নিল"। হঠাৎ কেন এই নিষেধাজ্ঞা, প্রশ্ন সমগ্র ফুটবল মহলে। কী ঘটেছিল সেদিন? কীসের ভিত্তিতেই বা মেসিকে ব্যান করল ফিফা?


 


চিলির বিরুদ্ধে ম্যাচে একটা সময় লাইনসম্যানের সঙ্গে বাক্‌-বিতণ্ডায় জড়াতে দেখা যায় মেসিকে। টেলিভিশনের ক্যামেরা বন্দি হয় সেই দৃশ্য। ফিফা সেই ফুটেজের ভিত্তিতেই মেসির বিরুদ্ধে তদন্ত করে বলে সূত্রের খবর। মেসির বিরুদ্ধে ফাউলের সিদ্ধান্ত নিতেই নাকি লাইনসম্যানের বিরুদ্ধে চরাও হন তিনি। এরপর খেলা শেষে অন্য এক ম্যাচ রেফারির সঙ্গেও হাত মেলাতে অস্বীকার করেন এলএমটেন। তবে এই গোটা ঘটনাই নাকি ম্যাচের প্রধান রেফারি জানেন না! "আমি মেসি কিংবা অন্য কারোর মুখ থেকেই কোনও রকম কটূক্তি শুনিনি। যদি আমি এমন কিছু শুনতাম তাহলে সেই মতই ব্যবস্থা নিতাম। তখন ফিফার নিয়ম অনুযায়ীই অ্যাকশন নেওয়া হত", মেসির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করারা পর এই কথাই বলেন চিলি বনাম আর্জেন্টিনা ম্যাচের প্রধান রেফারি সান্দ্রো রিসি।


 


উল্লেখ্য, ওয়ার্ল্ডকাপ কোয়ালিফায়ারের এই 'বিতর্কিত ম্যাচে' চিলির বিরুদ্ধে ১-০ গোলে ম্যাচ জিতে নেয় আর্জেন্টিনা। ওই ম্যাচে আর্জেন্টিনার হয়ে একমাত্র গোলটিও করেন মেসি। (মেসিরা জিতেছেন ঠিকই কিন্তু দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড়