নিজস্ব প্রতিবেদন— ২০১৭ অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ সাফল্যর সঙ্গে আয়োজন করেছিল ভারত। অল ইন্ডিয়া ফউটবল ফেডারেশনের বিশ্বকাপ আয়োজন ও ব্যবস্থাপনা দেখে প্রশংসা করেছিল ফিফা। সেবারের সাফল্যের পুরস্কার হিসাবে এবার অনূর্ধ্ব ১৭ মেয়েদের ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ পেয়েছিল ভারত। আর আয়োজক দেশ হিসাবে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেতেন ভারতীয় মহিলা ফুটবলাররা। যে কোনও পর্যায়ের বিশ্বকাপ ফুটবলে এই প্রথমবার ভারতীয় মেয়েদের খেলার সুযোগ ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাস থাবা বসিয়েছে গোটা বিশ্বে। যার জেরে ভারতীয় মেয়েদের বিশ্বকাপে খেলার অপেক্ষা বাড়ল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গোটা দেশে এখন লকডাউন চলছে। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, পরিস্থিতি বেগতিক বুঝলে সরকার লকডাউনের মেয়াদ বাড়াতে পারে। এমনিতেই বিশ্বের বহু দেশে এখন লকডাউন চলছে। করোনার বিস্তার আটকাতে লকডাউন ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। ইতালি, স্পেন, ইংল্যান্ড থেকে শুরু করে বহু দেশে অনেক জনপ্রিয় টুর্নামেন্ট অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথমবার বাতিল করা হয়েছে উইম্বলডন। টোকিও ওলিম্পিক গেমস পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক সংস্থা। ফিফা সেখানে আগে থেকেই জানিয়েছিল, আগে মানুষ, পরে ফুটবল! আর নিজেদের বয়ানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এবার সিদ্ধান্ত নিল ফিফা।


আরও পড়ুন— অলিম্পিকে কোয়ালিফাইং করার নতুন ডেডলাইন ঘোষনা করল আইওসি


মোট ১৬টি দলের অংশ নেওয়ার কথা ছিল বিশ্বকাপে। টুর্নামেন্ট শুরু হতে এখনও সাত মাস বাকি। কিন্তু করোনা যেভাবে সারা বিশ্বে তাণ্ডব চালাচ্ছে তাতে কবে নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে তা এখনও স্পষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না। তাই ঝুঁকি নিতে চায়নি ফিফা। ২ নভেম্বর শুরু হওয়ার কথা ছিল বিশ্বকাপ। কলকাতা, গুয়াহাটি, ভুবনেশ্বর, আহমেদাবাদ ও মুম্বইয়ে হওয়ার কথা ছিল ম্যাচ। ফিফা ওয়ার্কিং গ্রুপ অনূর্ধ্ব ২০ বিশ্বকাপ স্থগিত রাখারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অগাস্ট—সেপ্টেম্বরের পানামা ও কোস্টারিকায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল অনূর্ধ্ব ২০ বিশ্বকাপ।