Sadio Mane, FIFA World Cup 2022: অস্ত্রোপচারেও লাভ হল না, শেষ পর্যন্ত চোটের জন্য কাপ যুদ্ধ থেকে ছিটকে গেলেন সাদিও মানে
বুন্দেসলিগায় ভার্ডার ব্রেমেনের বিরুদ্ধে ম্যাচ চলার সময় চোট পেয়েছিলেন সাদিও মানে। ২০ মিনিটের মাথায় চোট পাওয়ার জন্য তিনি মাঠ থেকে উঠে যান। এরপর আর মাঠে নামেননি। বরং চোটের জায়গায় আইসপ্যাক লাগিয়ে বসেছিলেন।
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: একটা চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে শেষরক্ষা হল না। হাঁটুর চোট দ্রুত সারিয়ে তোলার জন্য অস্ত্রোপচার করাও হয়েছিল। কিন্তু লাভ হল না। বিশ্বকাপ (Qatar Fifa World Cup 2022) থেকে ছিটকে গেলেন সাদিও মানে (Sadio Mane)। সেনেগালের (Senegal) কোচ আলিউ সিসে (Aliou Cisse) সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দেন এই খবর। গত সপ্তাহে বায়ার্ন মিউনিখের (Bayern Munich) হয়ে খেলার সময়ে চোট পান মানে। ওয়েডার ব্রেমেনের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলেন মাত্র ২০ মিনিট। তার পরই চোটগ্রস্ত সাদিও মানে-কে মাঠ ছাড়তে দেখে তাঁর ভক্তরা আশঙ্কিত হয়ে পড়েন। শেষপর্যন্ত মানে খেলতে পারবেন তো বিশ্বকাপে? অনেকেই ভেবেছিলেন চোট সারিয়ে মাঠে ফিরতে পারবেন তিনি। তবে শেষমেশ আর কাতার যাওয়া হচ্ছে না সাদিও মানের।
যদিও সিসে আগে বলেছিলেন বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে অনিশ্চিত মানে। দ্বিতীয় ম্যাচে তাঁকে পাওয়া যেতে পারে। দেশের সেরা খেলোয়াড়কে বাদ দিয়ে বিশ্বকাপে যেতে রাজি ছিলেন না সিসে। কিন্তু ব্রেমেনের বিরুদ্ধে ফিবুলায় চোট মানেকে বিশ্বকাপ থেকেই ছিটকে দিল। সেনেগাল কোচ সিসে বলেন, 'আমি দলের সেরা তারকাকে ছাড়া বিশ্বকাপে আসতে রাজি ছিলাম না। তাই সাদিওকে রেখেই দল ঘোষণা করেছিলাম। তবে দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি ওকে ছাড়াই আমাদের বিশ্বকাপে নামতে হবে।'
আরও পড়ুন: Cristiano Ronaldo: ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড অতীত! অস্ট্রেলিয়ার এ লিগে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো?
আরও পড়ুন: FIFA World Cup 2022: কোন সমস্যার জন্য হ্যারি কেনের ইংল্যান্ডের ঘুম উড়ে গেল? জেনে নিন
আসন্ন বিশ্বকাপে ‘এ’ গ্রুপে সেনেগালের সঙ্গে নেদারল্যান্ডস, কাতার ও ইকুয়েডর। আগামী ২১ নভেম্বর ডাচদের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে দক্ষিণ আফ্রিকার 'ফুটবল জায়ান্ট' সেনেগাল। এবার সেই ম্যাচে সাদিও মাঠে নামতে পারেন কিনা সেটাই দেখার।
সেনেগালের বিশ্বকাপ দল:
গোলরক্ষক: এডোয়ার্ড মেন্ডি (চেলসি), সেনি ডিয়েং (কিউপিআর), আলফ্রেড গোমিস (রেনেস)।
ডিফেন্ডার: ইউসুফ সাবালি (রিয়াল বেটিস), কালিদু কৌলিবালি (চেলসি), আবদু দিয়ালো (আরবি লিপজিগ), পাপে আবৌ সিসে (অলিম্পিয়াকোস), ফর্মোজ মেন্ডি (এমিয়েন্স), ফোডে ব্যালো-টোরে (এসি মিলান) এবং ইসমাইল জ্যাকবস (মোনাকো)।
মিডফিল্ডার: ইদ্রিসা গুয়ে (এভারটন), চেইখৌ কাউয়েতে (নটিংহাম ফরেস্ট), নামপালিস মেন্ডি (লিসেস্টার), পেপে গুয়ে (মার্সেই), পেপ সর (টটেনহ্যাম), মোস্তাফা নাম (পাফোস), মামাদু লোম (রিডিং), ক্রেপিন দিয়াত্তা (মোনাকো)
ফরোয়ার্ড: সাদিও মানে (বায়ার্ন মিউনিখ), ইসমাইলা সার (ওয়াটফোর্ড), বাম্বা ডিয়েং (মার্সেইল), বোলায়ে দিয়া (সালেরনিটানা), ফামারা দিদিও (অ্যালানিয়াস্পোর), নিকোলাস জ্যাকসন (ভিলারিয়াল) এবং ইলিমান এনডিয়ায়ে (শেফিল্ড ইউনাইটেড)।