জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বাংলায় একটা চলু প্রবাদ খুব মনে পড়ে যাচ্ছে। 'আমার কথাটি ফুরোলো, নটে গাছটি মুড়োলো।'। চলতি কাতার (Qatar) বিশ্বকাপে (FIFA World Cup 2022) অন্যতম ভেন্যু স্টেডিয়াম ৯৭৪-এর (Stadium 974) গল্প ফুরিয়ে আসা শুধু সময়ের অপেক্ষা। জানিয়ে রাখা ভালো, মোট ৯৭৪টি কন্টেনার দিয়ে তৈরি হওয়ার জন্যই এই মাঠের নাম স্টেডিয়াম ৯৭৪। ১৮ ডিসেম্বর কাপ যুদ্ধের মেগা ফাইনাল। সেই ম্যাচ আয়োজিত হওয়ার পরেই এই স্টেডিয়াম ভেঙে ফেলা হবে! এবার একে একে খুলে ফেলা হবে কন্টেনারগুলো। সেই কন্টেনারগুলো জাহাজে চড়ে চলে যাবে উন্নয়নশীল কোনও দেশে। সেই সব দেশের খেলাধুলার উন্নয়নে সরঞ্জাম হিসেবে ব্যবহৃত হবে স্টেডিয়াম ৯৭৪-এর এই কন্টেনারগুলো। হ্যাঁ, এটাই সত্যি। টুইট করে সেটা জানিয়ে দিল ফিফা (FIFA)। বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা এই স্টেডিয়ামের ভিডিয়ো তুলে ধরেছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কাতার বিশ্বকাপের বাকি ১০টা স্টেডিয়ামের চেয়ে আলাদা দোহা শহরের এই স্টেডিয়াম ৯৭৪। বিশ্বের বাকি সব স্টেডিয়ামের সঙ্গে এই স্টেডিয়ামের কোনও মিল নেই। লুসেল কিংবা আল বায়েত স্টেডিয়ামের মতো নেই স্থাপত্য শিল্পের কারুকার্যের ঝলক। তবে একদিক থেকে এই স্টেডিয়াম ৯৭৪ একেবারে অনন্য। কাতারে অবস্থিত এটি বিশ্বের একমাত্র স্টেডিয়াম, যা নির্মিত হয়েছে কন্টেনার দিয়ে। ৯৭৪টি কন্টেনারকে একটির সঙ্গে একটি জোড়া লাগিয়ে দিয়ে তৈরি করা হয়েছে পুরো স্টেডিয়াম। 


আরও পড়ুন: Tite Dance, FIFA World Cup 2022: 'ড্যাডি' তিতে-র নাচে মজেছে নেইমারদের ব্রাজিল, তীব্র কটাক্ষ করলেন রয় কিন


আরও পড়ুন: Richarlison and Ronaldo Nazario, FIFA World Cup 2022: ব্রাজিলের দুই 'নাম্বার নাইন'-এর 'পায়রা নাচ'! রিচার্লিসন থেকে কতটা শিখলেন রোনাল্ডো?




২০১১ সালে বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পায় কাতার। এরপর ২০১৮ সাল থেকে শুরু হয় এই স্টেডিয়াম তৈরির কাজ। ৪৪০৮৯ আসন বিশিষ্ট এই স্টেডিয়াম তৈরি করতে লেগেছিল প্রায় তিন বছর। চলতি বছরের ৩০ নভেম্বর এই স্টেডিয়াম জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল। কাপ যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে ফিফা আরব কাপের ছ'টি ম্যাচ আয়োজন করা হয়েছিল। বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে সৌদি আরব, কাতার, জর্ডন, সুদানের মতো দেশ এখানে খেলে গিয়েছিল। 


বিশ্বকাপে মোট সাতটি ম্যাচ এই স্টেডিয়ামে আয়োজন করা হয়েছে। ২২ নভেম্বর মেক্সিকো বনাম পোল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে এই স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের খেলা গড়ায়। এরপর একে একে হয়েছে আরও ছয়টি ম্যাচ। বিশ্ব ফুটবলের তিন মহাতারকা লিওনেল মেসি, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো ও নেইমারের ঝলক দেখেছে এই স্টেডিয়াম ৯৭৪। এমনকি কিলিয়ান এমবাপে ও রবার্ট লেভানডস্কির মতো তারকাও এই মাঠে খেলে গিয়েছেন। ৫ ডিসেম্বর ব্রাজিল বনাম দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচ দিয়ে শেষ হয়েছে এই মাঠের বিশ্বকাপ জার্নি। এবং মনে রাখার সেই ম্যাচে এশিয়ার 'রেড ড্রাগন' -দের ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে সেলেকাওরা। কেরিয়ারে অসংখ্য স্টেডিয়ামে খেললেও এই স্টেডিয়াম তাঁদের মনে বিশেষ জায়গা নিয়ে থাকবে। ইতিহাসে এই মাঠে তাঁদের গড়া কীর্তির কথা উল্লেখ থাকবে। কিন্তু বুটের ছাপ লাগা এই স্টেডিয়াম ৯৭৪-এর কোনও অস্তিত্বই থাকবে না। চাইলেও এই মাঠে এসে দাঁড়িয়ে স্মৃতির রোমন্থন করতে পারবেন না একাধিক তারকা। তবে এই স্টেডিয়াম একটু বেশিই মনে থাকবে ম্যাক অ্যালিস্টার, ভিনিসিউস জুনিয়রদের কাছে। কারণ এই দুই তরুণই বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম গোল পেয়েছেন এই মাঠে। ব্রাজিলের জন্য পয়া ভেন্যু হিসেবেই লেখা থাকবে স্টেডিয়াম ৯৭৪-এর নাম। দুই ম্যাচ খেলে যে দুই ম্যাচেই জয় পেয়েছে ব্রাজিল। 



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)