FIFA World Cup 2022, WALES vs USA: বাবা জর্জ-ছেলে টিমোথির স্বপ্ন চুরমার করে পালটা হুঙ্কার দিলেন গ্যারেথ বেল
FIFA World Cup 2022, WALES vs USA: ম্যাচের ৩৬ মিনিটেই এই স্ট্রাইকারের গোলে এগিয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। টিমোথির গোল উৎসবটাও একেবারে বাবা জর্জের মতোই। তিনিও গোল করে দু’হাত ছড়িয়ে কর্নার ফ্ল্যাগের দিকে ছুটে যেতেন। লাইবেরিয়ার মতো আফ্রিকার পিছিয়ে পড়া দেশকে একা হাতে ইউরোপের ক্লাব ফুটবলের মঞ্চে তুলে ধরেছিলেন দেশের বর্তমান রাষ্ট্রপতি।
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রতিটা লড়াইয়ের একটা পটভূমি থাকে। প্রতিটা লড়াইয়ের নেপথ্যে থাকে আর একটা সংগ্রাম। সেই সংগ্রামের ফসল ফললেই যে স্বপ্ন পূরণের স্বার্থকতা। যুক্তরাষ্ট্র (USA) বনাম ওয়েলস (WALES) ম্যাচেও সেটা দেখা গেল। একদিকে জর্জ উইয়ার (George Weah) ছেলে টিমোথি (Timothy Weah) গোল করে বাবা ও তাঁর দেশকে নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন চুরমার করে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিলেন গ্যারেথ বেল (Gareth Bale)! ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হেরে যাওয়া ম্যাচ থেকে ১ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ল ওয়েলস।
২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের জার্সিতে ভারতে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ (FIFA Under 17 World Cup) খেলে গিয়েছিলেন টিমোথি। সেবার নক আউটের প্রথম ম্যাচেই প্যারাগুয়ের বিরুদ্ধে দুরন্ত হ্যাটট্রিক করে নিজের জাত চিনিয়েছিলেন প্রাক্তন ফুটবলার এবং বর্তমানে লাইবেরিয়ার (Liberia) রাষ্ট্রপতি (President) জর্জ উইয়ার ছেলে। বাবা জর্জ নিজের দেশ ও ক্লাব ফুটবলে দারুণ সফল হলেও, বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ তাঁর হয়নি। তাই ম্যাচের শুরু থেকে ছেলের গোল পর্যন্ত তাঁর মধ্যে একটা বাড়তি তাগিদ লক্ষ্য করা যাচ্ছিল। ছেলে গোল করতেই লাফিয়ে উঠলেন গ্যালারিতে বসা জর্জ।
ম্যাচের ৩৬ মিনিটেই এই স্ট্রাইকারের গোলে এগিয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। টিমোথির গোল উৎসবটাও একেবারে বাবা জর্জের মতোই। তিনিও গোল করে দু’হাত ছড়িয়ে কর্নার ফ্ল্যাগের দিকে ছুটে যেতেন। লাইবেরিয়ার মতো আফ্রিকার পিছিয়ে পড়া দেশকে একা হাতে ইউরোপের ক্লাব ফুটবলের মঞ্চে তুলে ধরেছিলেন দেশের বর্তমান রাষ্ট্রপতি।
কিন্তু ওয়েলসের অধিনায়ক যে ছেড়ে দেওয়ার বান্দা নন। সেই ১৯৫৮ সালের পর ফের কাপ যুদ্ধের মঞ্চে পারফর্ম করার সুযোগ পেয়েছে ইংল্যান্ডের পাশে থাকা এই ছোট্ট দেশ। এই ম্যাচের আগে গ্যারেথ বেল-ই দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১০৮ ম্যাচে ৪০টি গোল করেছিলেন। ৬৪ বছর পর ফের দেশকে বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ করে দিয়েই নজির গড়লেন ৩৩ বছরের এই স্ট্রাইকার। ৮১ মিনিটে তাঁকে বক্সের মধ্যে ফাউল করা হলে পেনাল্টি পায় ওয়েলস। সেই বলকে জালে জড়িয়ে দিতে ভুল করেননি ওয়েলসের সর্বকালের সেরা ফুটবলার।
যুক্তরাষ্ট্রের জার্সি গায়ে এখন পর্যন্ত তিমোথির মোট গোল চারটি। এর মধ্যে কাতার বিশ্বকাপে একটি গোল। অন্যদিকে, তার বাবা জর্জ উইয়াহর লাইবেরিয়ার হয়ে করেছেন ১৮টি গোল। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে ক্লাবের হয়ে দু'হাত ভরে সাফল্য পেলেও জর্জ উইয়ার কেরিয়ারে একমাত্র অপূর্ণতা ছিল বিশ্বকাপ না খেলতে পারা। তবে, বাবা বিশ্বকাপ খেলতে না পারলেও ছেলে ঠিকই খেলছেন বিশ্বকাপ। ছোটদের পর বড়দের বিশ্বকাপে গোল করে ফুটবল দুনিয়াকে চমকে দিলেন।
তবে চমক দিতে ছাড়লেন না গ্যারেথ বেল। টিমোথির একমাত্র গোলে যখন যুক্তরাষ্ট্র যখন জয়ের গন্ধ পাচ্ছে, ঠিক সেই মোক্ষম সময় বিপক্ষের জালে বল জড়িয়ে দেশকে বিশ্বকাপে এনে দিলেন ১ পয়েন্ট। তাও আবার ৬৪ বছর পর কাপ যুদ্ধ খেলা এমন একটা দেশ। যারা শেষবার ১৯৫৮ সালে বিশ্বকাপে পারফর্ম করার সুযোগ পেয়েছিল।