নিজস্ব প্রতিবেদন: চলে গেলেন চন্দ্রা নাইডু (Chandra Nayudu)। ৮৮ বছরে প্রয়াত দেশের প্রথম মহিলা ক্রিকেট ধারাভাষ্য়কার (First Indian Woman Cricket Commentator)। গত রবিবার ইন্দোরে নিজের বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন চন্দ্রা। বিখ্যাত বাবার কন্যা ছিলেন তিনি। কর্নেল সিকে নাইডুর মেয়ে চন্দ্রা। ভারতের ক্রিকেট ইতিহাস আজীবন মনে রাখবে দেশের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক সিকে নাইডুকে। অল ইন্ডিয়া রেডিও-র (AIR) হয়ে ধারাভাষ্য়কার হিসাবে কাজ করতেন চন্দ্রা। ভারতে মহিলা ক্রিকেটের প্রচারে তাঁর অবদান ছিল অনস্বীকার্য। রেডিও-তে নিজের নাম প্রতিষ্ঠিত করলেও চন্দ্রা কিন্তু ইন্দোরের গার্লস ডিগ্রি কলেজের ইংরাজির অধ্যাপিকা ছিলেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চন্দ্রার পরিবারের সঙ্গে অত্যন্ত সুসম্পর্ক সঞ্জয় জগদলের। মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন এই ক্রিকেটার অতীতে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (BCCI) সচিব ও নির্বাচক হিসাবেও দায়িত্ব সামলেছেন। সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সঞ্জয় জগদলে বলছেন, "চন্দ্রা সাত-আটের দশকে অল ইন্ডিয়া রেডিও-র হয়ে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে ধারাভাষ্য় দিত। তখন থেকে দেশে মহিলা ক্রিকেটের শুরু। এই বিষয় ওর অত্যন্ত আগ্রহ ছিল। তখন মেয়েদের ক্রিকেট খুব কমই হতো। সেরকম দলও ছিল না। ও অনেক প্লেয়ারকে খেলার জন্য অনুপ্রাণিত করেছে।" 


ভারতের প্রথম মহিলা দলের ক্যাপ্টেন ডায়না এডুলজিও (Diana Edulji) চন্দ্রার স্মৃতিচারণ করে বলেছেন, "সাতের দশকের শুরুর দিকে আমরা জাতীয় টুর্নামেন্ট খেলতে ইন্দোরে গিয়েছিলাম। ওর ক্রিকেট নিয়ে ভীষণ আগ্রহ ছিল। বিশেষত মেয়েদের ক্রিকেট নিয়ে। আমরা মেয়েরা যদিও মূল স্টেডিয়ামে খেলেনি, কিন্তু চন্দ্রা এসে আমাদের সঙ্গে দেখা করত। সেই সময়েও ওর ক্রিকেট নিয়ে যথেষ্ট জ্ঞান ছিল। আমরা বুঝেই উঠতে পারতাম না, বিশ্ব ক্রিকেটে কী ঘটছে! ও ক্রিকেটীয় পরিবার থেকে উঠে এসেছিল বলেই হয়তো এমনটা ছিল। চন্দ্রার চলে যাওয়ায় বড় ক্ষতি হয়ে গেল আমাদের"কর্নেল সিকে নাইডুর প্রথম স্ত্রী'র তিন কন্যার মধ্যে চন্দ্রা ছিলেন ছোট। চন্দ্রা বিয়ে করেননি। তাঁর শেষকৃত্য তাঁর ভাইপো সম্পন্ন করেন।