প্রয়াত `ময়দানের ভীষ্ম` বিশ্বনাথ দত্ত, শোকের ছায়া ক্রীড়ামহলে
শরীর খারাপের কারণেই ময়দানের সঙ্গে যোগাযোগ কমে এসেছিল বিশ্বনাথ দত্তের। দীর্ঘ দিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন তিনি। বাড়িতেই তাঁর চিকিত্সা চলত। সম্প্রতি তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রয়াত 'ময়দানের ভীষ্ম' তথা প্রাক্তন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট বিশ্বনাথ দত্ত৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর৷ দীর্ঘ রোগভোগের পর সোমবার সকালে বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বাংলার এই দুঁদে ক্রীড়া প্রশাসক৷ স্বাভাবিকভাবেই তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া ক্রীড়ামহলে৷
একসময় একা হাতে বাংলার ফুটবল ও ক্রিকেট পরিচালনা করেছেন বিশ্বনাথ দত্ত৷ আইএফএ-র দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি ১৯৮৬ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের সভাপতি ছিলেন বিশ্বনাথবাবু৷ সভাপতি ছাড়াও সিএবি-র একাধিক পদ অলঙ্কৃত করেছিলেন তিনি৷ তাঁর হাত থেকেই ব্যাটন নেন জগমোহন ডালমিয়া৷ ১৯৮৮ সালে বিসিসিআইয়ের সভাপতি নির্বাচিত হন বিশ্বনাথ দত্ত৷ ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ক্ষমতায় ছিলেন তিনি৷ ক্রীড়া প্রশাসক হিসাবে তাঁর সাফল্যের থেকেও পরবর্তীকালে নিজের উত্তরসূরী খুঁজে বার করার মুন্সিয়ানা তাঁকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিল। ক্ষমতায় থাকাকালীন বিশ্বনাথ দত্তই ক্রিকেট প্রশাসনে নিয়ে আসেন জগমোহন ডালমিয়াকে৷ তাঁর হাত ধরে সিএবিতে আসা ডালমিয়া পরবর্তীকালে ভারতীয় তথা বিশ্ব ক্রিকেটকে বাণিজ্যিকভাবে সাফল্যের চূড়ায় নিয়ে গিয়েছিলেন।
শরীর খারাপের কারণেই ময়দানের সঙ্গে যোগাযোগ কমে এসেছিল বিশ্বনাথ দত্তের। দীর্ঘ দিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন তিনি। বাড়িতেই তাঁর চিকিত্সা চলত। সম্প্রতি তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। এরপর সোমবার সকালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বিশ্বনাথবাবু। বিশ্বনাথ দত্তর প্রয়ানে শোকপ্রকাশ করে প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক তথা সিএবি প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁকে 'মাস্টার অ্যাডমিনিস্ট্রেটর' হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, "খুব বড় ক্ষতি। এটা পূরণ করা খুব কঠিন।"