নিজস্ব প্রতিবেদন: হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট নিয়েও সিডনিতে পঞ্চম দিনে সাড়ে তিন ঘণ্টা ব্যাটিং করেন হনুমা বিহারী। ১৬১ বল খেলে ২৩ রান করেন তিনি। এমন ইনিংসকে সেঞ্চুরির থেকেও এগিয়ে রাখেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। বিহারীর সঙ্গে সেদিন আর এক লড়াকু রবিচন্দ্রন অশ্বিনের নামও জুড়ে যায়। সিডনিতে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করে ভারতের ত্রাতা হয়ে ওঠেন হনুমা বিহারী ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন। অজিদের আক্রমণের ঢেউকে সামাল দিয়ে অশ্বিন-বিহারী জুটি সিডনিতে পঞ্চম দিনে দেওয়াল হয়ে দাঁড়ান।  ব্রিসবেনে শেষ টেস্টে খেলতে পারেননি হনুমা বিহারী। দেশে ফিরে আসেন তিনি। একটা সময় সে দিন মনে হয়েছিল তিনি নাকি আর খেলতেই পারবেন না। দৌড়াতে পারছিলেন না। ইনজেকশন নিয়ে ব্যাটিং করেন বলে এক সাক্ষাৎকারে জানান তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


এক সাক্ষাৎকারে হনুমা বিহারী বলেন, "আমি যখন ব্যাট করতে নেমেছিলাম  তখন পূজারা সঙ্গে ছিল। কিন্তু আমি হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেতেই আর দৌড়াতে পারছিলাম না। ফিজিয়ো এসে মাঠেই পেনকিলার দেন। তবু দৌড়াতে অসুবিধা হচ্ছিল। তাতেও অসুবিধা হচ্ছিল। পূজারা বলে, ক্রিজে টিকে থাক। এরপর মাঠে এসে ফিজিয়ো চোটের জায়গায় টেপ জড়িয়ে দেন। কিন্তু পূজারা আউট হতেই চাপ বেড়ে যায় "


আরও পড়ুন -আদরেই যন্ত্রণার উপশম, বাবার অপেক্ষায় Pujara'র ছোট্ট মেয়ে  


বিহারী আরও জানান, "নিজেকে নিজেই বলেছিলাম উইকেটে টিকে থাকতেই হবে চা বিরতি পর্যন্ত। চা বিরতিতে ড্রেসিংরুমে ফিরে পেনকিলার ইনজেকশন নিয়ে খেলেছি। ড্রেসিংরুমে আমাকে বলা হয় দেশের প্রতি তুমি দায়বদ্ধ। তার মর্যাদা দিতেই হবে। " সেখান থেকেই লড়াইয়ের রসদ পেয়ে যান বলে জানান তিনি। ব্রিসবেনে শেষ টেস্টে না খেলেই দেশে ফিরে আসেন হনুমা বিহারী। বর্তমানে বেঙ্গালুরুর এনসিএ-তে রিহ্যাবে রয়েছেন তিনি।


আরও পড়ুন - বীরের সম্মানে বরণ Ajinkya Rahane-কে